ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীতে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মো: হানিফ হোসেন, টঙ্গী
  • Update Time : ০৭:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • / ২৪৯ Time View

গাজীপুরের টঙ্গীতে ঝুট মালামাল বাহির হওয়া কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন কারখানার সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। কারখানাটির ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, এসময় পরপর অন্তত ১০টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক কাল বেলার টঙ্গী প্রতিনিধি মহিউদ্দিন রিপন, এশিয়ান টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরী, আনন্দ টেলিভিশনের রায়হান মিধা, সাংবাদিক মারুফ, পুলিশ সদস্য আজিজ ও ফরহাদ। এছাড়াও বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন স্যাটার্ন কারখানার ঝুট নামাতে গেলে।

অভিযোগ উঠেছে, কাজী হুমায়ুন জানান,স্যাটার্ন কারখানার সঙ্গে আমার নূর এন্টারপ্রাইজের বৈধ চুক্তি রয়েছে। গত ১০ আগস্ট থেকে আমরা তাদের ওয়েস্টেজ নিচ্ছি। হালিম মোল্লার ক্যাডাররা আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। এবং সাংবাদিক পুলিশের উপর তারা হামলা চালায় এবং আমার উপর যে অভিযোগ এনেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ব্যক্তিহীন আমাকে এবং আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার  জন্য পায়তারা করছে। শুক্রবার সকালে প্রায় ১৫০-২০০ জন সন্ত্রাসী এসে গালাগাল করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

অপর পক্ষে, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার ঘনিষ্ঠ নেতা কাজী মামুন বলেন,কাজী হুমায়ুন আওয়ামী লীগের গোপনে থাকা নেতাকর্মীদের অর্থ দিচ্ছেন। তার অর্থায়নেই গাজীপুরে নৈরাজ্য চলছে। তাই আমরা তার ঝুট নামাতে বাধা দিই। কিন্তু তার সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে এঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক ও পুলিশ বাহিনী সদস্যরা আসলে তাদের উপরেও  ককটেল নিক্ষেপ করা হয় বলে তিনি জানান।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীতে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মো: হানিফ হোসেন, টঙ্গী
Update Time : ০৭:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীতে ঝুট মালামাল বাহির হওয়া কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত গাজীপুরা এলাকার স্যাটার্ন কারখানার সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। কারখানাটির ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, এসময় পরপর অন্তত ১০টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক কাল বেলার টঙ্গী প্রতিনিধি মহিউদ্দিন রিপন, এশিয়ান টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরী, আনন্দ টেলিভিশনের রায়হান মিধা, সাংবাদিক মারুফ, পুলিশ সদস্য আজিজ ও ফরহাদ। এছাড়াও বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী হুমায়ুন স্যাটার্ন কারখানার ঝুট নামাতে গেলে।

অভিযোগ উঠেছে, কাজী হুমায়ুন জানান,স্যাটার্ন কারখানার সঙ্গে আমার নূর এন্টারপ্রাইজের বৈধ চুক্তি রয়েছে। গত ১০ আগস্ট থেকে আমরা তাদের ওয়েস্টেজ নিচ্ছি। হালিম মোল্লার ক্যাডাররা আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। এবং সাংবাদিক পুলিশের উপর তারা হামলা চালায় এবং আমার উপর যে অভিযোগ এনেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ব্যক্তিহীন আমাকে এবং আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার  জন্য পায়তারা করছে। শুক্রবার সকালে প্রায় ১৫০-২০০ জন সন্ত্রাসী এসে গালাগাল করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

অপর পক্ষে, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার ঘনিষ্ঠ নেতা কাজী মামুন বলেন,কাজী হুমায়ুন আওয়ামী লীগের গোপনে থাকা নেতাকর্মীদের অর্থ দিচ্ছেন। তার অর্থায়নেই গাজীপুরে নৈরাজ্য চলছে। তাই আমরা তার ঝুট নামাতে বাধা দিই। কিন্তু তার সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে এঘটনার খবর পেয়ে সাংবাদিক ও পুলিশ বাহিনী সদস্যরা আসলে তাদের উপরেও  ককটেল নিক্ষেপ করা হয় বলে তিনি জানান।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।