টঙ্গীতে গৃহবধূর বাসায় নৃশংস হামলা–ভাঙচুর ও লুটপাট
- Update Time : ০৫:০৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
- / ৩৫ Time View
গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গোপালপুর এলাকায় এক গৃহবধূর বাসায় সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধরের হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী আফরোজা আক্তার (২৫) থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও টানা ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে তবুও মামলা নেয়নি পুলিশ। ন্যায়বিচারের আশায় তিনি প্রতিদিন থানায় ঘুরছেন, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। ১৯ নভেম্বর রাত ৮টায় ঘটিকার সময় ওই ঘটনার বর্ণনা শোনলে বিভীষিকাময় একটি রাতের চিত্র ফুটে ওঠে।
আফরোজার অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় কানা রতন (৪০), বুলু (৩০), মো. দাউদ (৩০), হিচকা সোহেল (২৮), মো. রুবেল (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও ৪–৫ জন তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের বাড়িতে ঢুকে নির্মম তাণ্ডব চালায়। দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেই হামলাকারীরা আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, কাঁচ–গ্লাস, আলমারি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাঙচুর করে— যার ক্ষয়ক্ষতি ৫ লাখ টাকারও বেশি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। আফরোজা জানান, তিনি বাধা দিলে কানা রতন তাকে মারধর করে আহত করে।

এরপর হামলাকারীরা আলমারি ভেঙে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় তার পাঁচ বছরের সন্তান ভয়ে কাঁদছিল, কিন্তু হামলাকারীরা শিশুটিকেও ভয় দেখাতে থাকে। সেই রাতের ভয় এখনও চোখে ভাসে, বলেন আফরোজা হামলার পর থেকে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্তরা আরও হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
তিনি জানান, অভিযোগ দেওয়ার পর প্রতিদিন থানায় যাই। কিন্তু মামলা নেয় না।
৭২ ঘণ্টা ধরে শুধু ঘুরছি কোনো বিচারই পাচ্ছি না অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই মুসাব্বির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। কয়েকটি তথ্য সংশোধন করলে মামলা গ্রহণ করা হবে।
তবে আফরোজা বলেন এই প্রক্রিয়াকে হয়রানি হিসেবে দেখছেন। তার ভাষায় আমি যা সত্য তাই লিখেছি। এখন আবার সংশোধন করতে বলছে। এভাবে যদি মামলা না নেয়, তবে আমি কোথায় বিচার পাব? অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, হামলার ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত এবং ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই এ ধরনের তাণ্ডব চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ওহিদুজ্জামান কে একাধিকবার ফোন দিল তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ঘটনাটি নিয়ে দুই পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডিসি ক্রাইম মহিউদ্দিনকে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবারটি এখনো আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙা, ঘর এলোমেলো সব মিলিয়ে এখনো যুদ্ধক্ষেত্রের মতো দেখাচ্ছে বাড়িটি। আফরোজা আক্তারের আকুতি আমাদের বাঁচান। আমাকে, আমার স্বামী আর শিশুকে নিরাপত্তা দিন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়







































































































































































































