ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসরাইলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেবো না: ট্রাম্প শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে খারিজ শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ে চেন্নাইয়ে থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদপিষ্ট হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে : তারেক রহমান বাদামতলীতে ঢাকা ৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি’র গণসংযোগ দোলনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ঢাকা ৭ আসনের মানুষের খাদেম হতে চাই – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান টঙ্গীর কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক

টঙ্গীতে কেমিক্যাল কারখানার অগ্নিকাণ্ডে আরো এক ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

মোঃ হানিফ হোসেন, টঙ্গী
  • Update Time : ০১:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২০৪ Time View

গাজীপুরের টঙ্গীতে ভয়াবহ কেমিক্যাল কারখানার অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম (৩৭) মৃত্যুবরণ করেছেন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকার একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। তার শরীরের প্রায় ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়।

এ ঘটনায় আহত ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ, ২৪ সেপ্টেম্বর ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা, আর সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম মৃত্যুবরণ করলেন।

এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চার জনে। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোল্লার টেক উদয়ন বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি ও ফুলপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। কর্মজীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম এবং সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং এক সন্তানের জনক। তার পিতা খন্দকার মোজাম্মেল হক ও মাতা দেলোয়ারা বেগম।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সবসময় জীবনবাজি রেখে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানে কাজ করেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জন ফায়ার সার্ভিস সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। সর্বশেষ সেই গৌরবময় আত্মত্যাগের তালিকায় যুক্ত হলো ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের নাম। তার মৃত্যুতে সহকর্মী ও পরিবার-পরিজন গভীর শোকাহত।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে দেশ ও মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি সত্যিকারের এক বীরের মতো বিদায় নিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীতে কেমিক্যাল কারখানার অগ্নিকাণ্ডে আরো এক ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু

মোঃ হানিফ হোসেন, টঙ্গী
Update Time : ০১:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীতে ভয়াবহ কেমিক্যাল কারখানার অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম (৩৭) মৃত্যুবরণ করেছেন।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকার একটি কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভাতে গিয়ে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। তার শরীরের প্রায় ৪২ শতাংশ পুড়ে যায়।

এ ঘটনায় আহত ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ফায়ারফাইটার শামীম আহমেদ, ২৪ সেপ্টেম্বর ফায়ারফাইটার নুরুল হুদা, আর সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম মৃত্যুবরণ করলেন।

এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চার জনে। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন খন্দকার জান্নাতুল নাঈম ১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোল্লার টেক উদয়ন বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি ও ফুলপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন। কর্মজীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম এবং সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং এক সন্তানের জনক। তার পিতা খন্দকার মোজাম্মেল হক ও মাতা দেলোয়ারা বেগম।

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সবসময় জীবনবাজি রেখে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানে কাজ করেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫১ জন ফায়ার সার্ভিস সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। সর্বশেষ সেই গৌরবময় আত্মত্যাগের তালিকায় যুক্ত হলো ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের নাম। তার মৃত্যুতে সহকর্মী ও পরিবার-পরিজন গভীর শোকাহত।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে দেশ ও মানুষের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি সত্যিকারের এক বীরের মতো বিদায় নিয়েছেন।