ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই ছাত্র হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা তারেক আজিজ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে কৃষি বাজার মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন আলাদা বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন: প্রধান বিচারপতি এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয় : কামাল আহমেদ অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন অপসারণে হাইকোর্টের রুল মোবাইল নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে ভাইরাল কাউন্টি ক্রিকেটার হ্যাকারের কবলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ ১৯ বছর পালিয়েও হলো না শেষ রক্ষা, অতঃপর র‌্যাবের জালে ধরা গাঁজা চাষ ও সেবনের বৈধতা চেয়ে মেক্সিকোতে বিশাল র‍্যালি আফতাবনগরে বসানো যাবে না পশুর হাট: হাইকোর্ট

টঙ্গীতে কলেজের গেট ভেঙ্গে মাঠে ঢুকে সভা করলেন ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ০১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৯১ Time View

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে পথসভার আয়োজন করে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন (বুদ্দিন) সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।

সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। মাঠের ভিতরেই খোলা ট্রাক দিয়ে তৈরী করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ।

এসময় নৌকা সমর্থক নেতাকর্মীরা সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে অনুমতি নিয়ে কলেজ মাঠ ব্যবহারের কথা বলে সভাস্থল খালি করতে বলেন।

একপর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বেরে করে দিয়ে কলেজ মাঠের প্রবেশদ্বারে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এসময় সংঘাতের আশংকায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

পরে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন (বুদ্দিন) ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে কলেজ মাঠের প্রবেশদ্বারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সভা করেন তারা।

এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী নেতাকর্মীদের একটি অংশ লাঠিসোঁটা হাতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাত্তার মোল্লার নেতৃত্বে টঙ্গী সরকারি কলেজের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি ভাংচুর চালায়। পরে কলেজ মাঠে পুনরায় খোলা ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করে সভা করেন ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন।

সভায় তিনি বলেন, কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ট্রাকের জোয়ার থামানো যাবে না। টঙ্গীর জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারী ভোটের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতার জবাব দেবে।

তিনি আরো বলেন, আমি গাজীপুর জেলা ডায়বেটিক সমিতির সভাপতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বরাদ্দ চেয়ে এনে হাসপাতাল করেছি। স্থানীয় সাংসদ দাবী করে এটা ওনি করেছেন। তার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি সরকারি হাসপাতাল গুলোর আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন কিন্তু চিকিৎসা সেবা নাই কেন? হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করে আপনার লোক লন্ড্রী ব্যাবসা করে আপনার লোক। মাষ্টার রোলে লোক নিয়োগের নামে ঘুষ বানিজ্য করে আপনার লোক।

চিকিৎসা সেবা দেবে কে? নির্বাচনে বিজয়ী হলে সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্নয় করে সব অনিয়ম দুর করে গাজীপুর দুই আসনকে রোল মডেল করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টঙ্গী তথা গাজীপুরকে যারা আপনারা জিম্মি করে রেখেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে জনগন ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবে। টঙ্গীকে আপনারা মাদক সম্রাজ্য বানিয়ে রেখেছেন। আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হলে এই টঙ্গী শহরকে মাদক মুক্ত করা হবে। ট্রাক প্রতিকের প্রার্থী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনি অস্ত্র হাতে দেশ স্বাধীন করেছেন। ৭১ সাল থেকে ছাত্রলীগ করেছেন ৭৪ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী সময় যখন সবাই দল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো। তখন তিনি শক্ত হাতে গাজীপুরে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন। প্রতিমন্ত্রীকে উদ্যেশ্য করে তিনি বলেন, তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তিনি জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামী লীগ করেন নি। তারপরও আমারা তাকে চার বার নির্বাচিত করেছি। বিনময়ে কিছুই পাইনি। বার বার নির্বাচিত হয়ে তিনি রাজধানীতে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। যখন মাটির ঘরে ছিলেন তখন মানুষকে মূল্যায়ন করেছেন। এখন রাজ প্রাসাধে থাকেন তাই মানুষকে পর করেছেন। আগামী নির্বাচনে টঙ্গীর জনগন ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীতে কলেজের গেট ভেঙ্গে মাঠে ঢুকে সভা করলেন ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী

জাহাঙ্গীর আকন্দ
Update Time : ০১:২৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে পথসভার আয়োজন করে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন (বুদ্দিন) সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।

সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। মাঠের ভিতরেই খোলা ট্রাক দিয়ে তৈরী করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ।

এসময় নৌকা সমর্থক নেতাকর্মীরা সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে অনুমতি নিয়ে কলেজ মাঠ ব্যবহারের কথা বলে সভাস্থল খালি করতে বলেন।

একপর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বেরে করে দিয়ে কলেজ মাঠের প্রবেশদ্বারে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এসময় সংঘাতের আশংকায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

পরে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন (বুদ্দিন) ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে কলেজ মাঠের প্রবেশদ্বারের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সভা করেন তারা।

এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী নেতাকর্মীদের একটি অংশ লাঠিসোঁটা হাতে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাত্তার মোল্লার নেতৃত্বে টঙ্গী সরকারি কলেজের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি ভাংচুর চালায়। পরে কলেজ মাঠে পুনরায় খোলা ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করে সভা করেন ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন।

সভায় তিনি বলেন, কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ট্রাকের জোয়ার থামানো যাবে না। টঙ্গীর জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারী ভোটের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতার জবাব দেবে।

তিনি আরো বলেন, আমি গাজীপুর জেলা ডায়বেটিক সমিতির সভাপতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বরাদ্দ চেয়ে এনে হাসপাতাল করেছি। স্থানীয় সাংসদ দাবী করে এটা ওনি করেছেন। তার কাছে আমার প্রশ্ন আপনি সরকারি হাসপাতাল গুলোর আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন কিন্তু চিকিৎসা সেবা নাই কেন? হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করে আপনার লোক লন্ড্রী ব্যাবসা করে আপনার লোক। মাষ্টার রোলে লোক নিয়োগের নামে ঘুষ বানিজ্য করে আপনার লোক।

চিকিৎসা সেবা দেবে কে? নির্বাচনে বিজয়ী হলে সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্নয় করে সব অনিয়ম দুর করে গাজীপুর দুই আসনকে রোল মডেল করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টঙ্গী তথা গাজীপুরকে যারা আপনারা জিম্মি করে রেখেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে জনগন ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবে। টঙ্গীকে আপনারা মাদক সম্রাজ্য বানিয়ে রেখেছেন। আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হলে এই টঙ্গী শহরকে মাদক মুক্ত করা হবে। ট্রাক প্রতিকের প্রার্থী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনি অস্ত্র হাতে দেশ স্বাধীন করেছেন। ৭১ সাল থেকে ছাত্রলীগ করেছেন ৭৪ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী সময় যখন সবাই দল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো। তখন তিনি শক্ত হাতে গাজীপুরে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করেছিলেন। প্রতিমন্ত্রীকে উদ্যেশ্য করে তিনি বলেন, তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। তিনি জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামী লীগ করেন নি। তারপরও আমারা তাকে চার বার নির্বাচিত করেছি। বিনময়ে কিছুই পাইনি। বার বার নির্বাচিত হয়ে তিনি রাজধানীতে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। যখন মাটির ঘরে ছিলেন তখন মানুষকে মূল্যায়ন করেছেন। এখন রাজ প্রাসাধে থাকেন তাই মানুষকে পর করেছেন। আগামী নির্বাচনে টঙ্গীর জনগন ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবে।