ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪ জন

মোঃ হানিফ হোসেন
  • Update Time : ০৮:২৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮৮ Time View

টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট)বিকেলে প্রথমে একটি দোকানে হামলা চালানো হয়, পরে সেটি ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, শনিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে সুমন কয়েকজন লোক ফরিদ মিয়া পক্ষের একটি দোকানে হামলা চালায়। দোকানে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরপরই ফরিদ মিয়া প্রতিরোধে নামে এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

ফরিদ মিয়ার দাবি: টঙ্গী পশ্চিম থানায় দেওয়া অভিযোগে ফরিদ মিয়া (৬৮) বলেন, সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জন লোক অতর্কিতভাবে আমাদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায়। তারা লোহার রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের পরিবারের ওপর আক্রমণ করে। এতে আমার ছেলে, বউমা, আত্মীয়স্বজনসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম, সাজ্জাদ, সজিব, ইমরান, সাব্বির, বাবু ও বাবুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সুমন গ্রুপের পাল্টা অভিযোগ: অন্যদিকে নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২৮) থানায় পাল্টা অভিযোগে বলেন, ফরিদ মিয়ার লোকজন আমাদের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দেয়। প্রতিবাদ করলেই তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমার ভাই সজিবকে বেধড়ক মারধর করে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয়।

সুমন গ্রুপের দাবি অনুযায়ী আহতদের মধ্যে সেলিম মিয়া, কাসেম মিয়া, শফিক মিয়া, আকাশ ও আরও কয়েকজন রয়েছে।

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিব বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দোকানে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনার পর সাতাইশ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। কেউ কেউ দোকান বন্ধ করে এলাকা ছেড়েও গেছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, টঙ্গী সাতাইশ এলাকায় আধিপত্য ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শনিবারের হামলা-সংঘর্ষ সেই উত্তেজনারই বিস্ফোরণ বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪ জন

মোঃ হানিফ হোসেন
Update Time : ০৮:২৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন সাতাইশ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট)বিকেলে প্রথমে একটি দোকানে হামলা চালানো হয়, পরে সেটি ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, শনিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে সুমন কয়েকজন লোক ফরিদ মিয়া পক্ষের একটি দোকানে হামলা চালায়। দোকানে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরপরই ফরিদ মিয়া প্রতিরোধে নামে এবং দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

ফরিদ মিয়ার দাবি: টঙ্গী পশ্চিম থানায় দেওয়া অভিযোগে ফরিদ মিয়া (৬৮) বলেন, সুমনের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জন লোক অতর্কিতভাবে আমাদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায়। তারা লোহার রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের পরিবারের ওপর আক্রমণ করে। এতে আমার ছেলে, বউমা, আত্মীয়স্বজনসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম, সাজ্জাদ, সজিব, ইমরান, সাব্বির, বাবু ও বাবুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

সুমন গ্রুপের পাল্টা অভিযোগ: অন্যদিকে নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২৮) থানায় পাল্টা অভিযোগে বলেন, ফরিদ মিয়ার লোকজন আমাদের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দেয়। প্রতিবাদ করলেই তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমার ভাই সজিবকে বেধড়ক মারধর করে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয়।

সুমন গ্রুপের দাবি অনুযায়ী আহতদের মধ্যে সেলিম মিয়া, কাসেম মিয়া, শফিক মিয়া, আকাশ ও আরও কয়েকজন রয়েছে।

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিব বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দোকানে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনার পর সাতাইশ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। কেউ কেউ দোকান বন্ধ করে এলাকা ছেড়েও গেছেন বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, টঙ্গী সাতাইশ এলাকায় আধিপত্য ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শনিবারের হামলা-সংঘর্ষ সেই উত্তেজনারই বিস্ফোরণ বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।