ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জোট ছাড়ার কারণ জানালেন নুর

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ৭৫ Time View

নয় মাসের মাথায় ভেঙে গেল সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নূর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ এ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার রাজধানীর পল্টনে দলটির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জোট কী কারণে ছাড়ছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। বিকালে সেগুনবাগিচায় গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে মঞ্চের পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ নিয়ে তিনি তা জানান।

সভার শুরুতে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত হয়ে জোট ত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন।

তারা বলেন, নতুন দল হিসেবে এখনই তাদের জোট রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি ও মাঠে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই রাজনৈতিকভাবে নিজেদের আরো পরিপক্ব করতে বেশ কিছুদিন স্বতন্ত্র রাজনীতি করতে চান। পরে জোটের রাজনীতিতে তারা সম্পৃক্ত হবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সভায় তারা দশ মিনিটের মতো ছিলেন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী ও আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও প্রচার-মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন প্রমুখ।

সভায় আগামী ১২ মে ‘অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারের পতন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবিতে’ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশের ঘোষণা করা হয়।

বৈঠকে শেষে গণঅধিকার পরিষদ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া দুঃখজনক এবং তা নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আন্দোলনের চূড়ান্ত সময়ে এসব তৎপরতা সরকার ও সরকারি দলকে উৎসাহ জোগাবে বলেও মনে করছেন তারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণঅধিকার পরিষদ গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বের হয়ে গেছে। জোট থেকে তাদের এই সদস্য পদ প্রত্যাহার দুঃখজনক। রাজপথের আন্দোলন যখন একটা চূড়ান্ত রূপে যাচ্ছে, জনগণ বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায়। তখন গণঅধিকার পরিষদের এই সিদ্ধান্ত আন্দোলনের জন্য নেতিবাচক বার্তা দেবে।

সভায় উপস্থিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা কী বলেছেন জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, তারা জানিয়েছেন তারা তাদের দলকে গোছাতে চান। নিজেদের মতো করে কর্মসূচি পালন করবেন। আগামী ১২ মে শাহবাগে গণতন্ত্র মঞ্চ সভার ঘোষণা দিয়েছিল। গণঅধিকার পরিষদও ১২ মে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সভা ঘোষণা করে। এটা যেন পালটাপালটি কর্মসূচি মনে না হয়, তাই গণঅধিকার পরিষদ তাদের ১২ তারিখের সভা পিছিয়ে দিচ্ছে। এটা তারা আজকের সভায় জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

জোট ছাড়ার কারণ জানালেন নুর

Update Time : ০৯:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

নয় মাসের মাথায় ভেঙে গেল সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নূর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ এ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার রাজধানীর পল্টনে দলটির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জোট কী কারণে ছাড়ছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। বিকালে সেগুনবাগিচায় গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে মঞ্চের পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ নিয়ে তিনি তা জানান।

সভার শুরুতে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত হয়ে জোট ত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন।

তারা বলেন, নতুন দল হিসেবে এখনই তাদের জোট রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তি ও মাঠে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই রাজনৈতিকভাবে নিজেদের আরো পরিপক্ব করতে বেশ কিছুদিন স্বতন্ত্র রাজনীতি করতে চান। পরে জোটের রাজনীতিতে তারা সম্পৃক্ত হবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সভায় তারা দশ মিনিটের মতো ছিলেন।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী ও আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দিন পাটোয়ারী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও প্রচার-মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন প্রমুখ।

সভায় আগামী ১২ মে ‘অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারের পতন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবিতে’ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশের ঘোষণা করা হয়।

বৈঠকে শেষে গণঅধিকার পরিষদ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া দুঃখজনক এবং তা নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। আন্দোলনের চূড়ান্ত সময়ে এসব তৎপরতা সরকার ও সরকারি দলকে উৎসাহ জোগাবে বলেও মনে করছেন তারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণঅধিকার পরিষদ গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বের হয়ে গেছে। জোট থেকে তাদের এই সদস্য পদ প্রত্যাহার দুঃখজনক। রাজপথের আন্দোলন যখন একটা চূড়ান্ত রূপে যাচ্ছে, জনগণ বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায়। তখন গণঅধিকার পরিষদের এই সিদ্ধান্ত আন্দোলনের জন্য নেতিবাচক বার্তা দেবে।

সভায় উপস্থিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা কী বলেছেন জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, তারা জানিয়েছেন তারা তাদের দলকে গোছাতে চান। নিজেদের মতো করে কর্মসূচি পালন করবেন। আগামী ১২ মে শাহবাগে গণতন্ত্র মঞ্চ সভার ঘোষণা দিয়েছিল। গণঅধিকার পরিষদও ১২ মে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সভা ঘোষণা করে। এটা যেন পালটাপালটি কর্মসূচি মনে না হয়, তাই গণঅধিকার পরিষদ তাদের ১২ তারিখের সভা পিছিয়ে দিচ্ছে। এটা তারা আজকের সভায় জানিয়েছেন।