ঢাকা ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার সারা দেশে আ.লীগ নিশ্চিহ্নের অভিযান চালাতে হবে : আবু হানিফ ১৬ বছর পর আবার ফিরছে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : রিজভী ভারতে বাংলা বললেই ‘বাংলাদেশি ট্যাগ’ দিয়ে গ্রেপ্তার, তৃণমূলের বিক্ষোভ গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আ.লীগ গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়নি : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভালো ভূমিকা পালন করেছে: আসিফ মাহমুদ কুবিতে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার গোপালগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘জুলাই স্পিরিট’ নতুন ঐক্যের নাম: জাককানইবি উপাচার্য

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / ২৪ Time View

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৭ জুলাই (বুধবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দিনব্যাপী এ আলোচনা সভা বিকেলে সমাপ্ত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘জুলাই উদযাপন কমিটির’ আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, সিন্ডিকেট সদস্য এম জাকির হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এইচ এম কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচানাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব মো. অলি উল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম।

এছাড়া আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. তারানা নুপুর, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানজিল হোসেনসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, “৫ আগস্টের পর আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে ও কাজ করতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত রাখতে নিরন্তর চেষ্টা চলছে। যারা জুলাই আন্দোলনে বাধা দিয়েছে বা নির্যাতন করেছে, তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ পেলে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর গত ৫৫ বছরে এমন ঐক্যবদ্ধতা আর দেখা যায়নি। এই ‘জুলাই স্পিরিট’ আর হারিয়ে যাবে না। কেউ অন্যায় করে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না।” আন্দোলনের সময়কার স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, “৫ আগস্ট ভোরে কারফিউ ভেঙে বৃষ্টিতে ভিজে শহিদ মিনার ও রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিই।”

ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে এখনই নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি কমিটি কাজ করছে।”

সভায় আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

Please Share This Post in Your Social Media

‘জুলাই স্পিরিট’ নতুন ঐক্যের নাম: জাককানইবি উপাচার্য

আসাদুল্লাহ আল গালিব, জাককানইবি প্রতিনিধি
Update Time : ১০:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’-এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৭ জুলাই (বুধবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দিনব্যাপী এ আলোচনা সভা বিকেলে সমাপ্ত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘জুলাই উদযাপন কমিটির’ আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, সিন্ডিকেট সদস্য এম জাকির হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এইচ এম কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচানাবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব মো. অলি উল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম।

এছাড়া আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. তারানা নুপুর, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানজিল হোসেনসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, “৫ আগস্টের পর আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে ও কাজ করতে পারছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত রাখতে নিরন্তর চেষ্টা চলছে। যারা জুলাই আন্দোলনে বাধা দিয়েছে বা নির্যাতন করেছে, তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তথ্যপ্রমাণ পেলে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর গত ৫৫ বছরে এমন ঐক্যবদ্ধতা আর দেখা যায়নি। এই ‘জুলাই স্পিরিট’ আর হারিয়ে যাবে না। কেউ অন্যায় করে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না।” আন্দোলনের সময়কার স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, “৫ আগস্ট ভোরে কারফিউ ভেঙে বৃষ্টিতে ভিজে শহিদ মিনার ও রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে আন্দোলনে অংশ নিই।”

ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে এখনই নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি কমিটি কাজ করছে।”

সভায় আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরেন।