ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
শরিয়তপুরের জেলা জজের বক্তব্য ঠিক নয় : রেজিস্ট্রার জেনারেল বাকৃবিতে নারী হয়ে নিজের সহপাঠীর অপ্রীতিকর ছবি সিনিয়র ভাইকে পাঠানোর অভিযোগ ‘লগি-বৈঠার তাণ্ডবের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’ তিন বিচারপতিকে শোকজের তথ্য সত্য নয়: সুপ্রিম কোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জেলা কারাগার পরিদর্শন গণপূর্তে একটি অনিয়ম ঢাকতে আরেকটি অনিয়ম এনা পরিবহনের ১২ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় নতুন মোড় মসজিদের খতিব ‘অপহরণে’ পুলিশের তদন্তে যা এলো সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ অবিলম্বে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে কঠোর কর্মসূচীর হুমকি সাংবাদিকদের

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে স্বাক্ষর করবে এনসিপি

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০১ Time View

ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ দুটি সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রথম প্রস্তাবকে সমর্থন জানাচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে এনসিপি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে ও সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর পর্যটন মোটেলে বিভাগের সকল ইউনিটের পদ প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন জনগন ও রাজনৈতিক দলের আস্থা হারাচ্ছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হলে জুলাই সনদের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে হবে এবং পাশাপাশি  নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, গণঅভুত্থানের পর ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাই গণভোটে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো অনুমোদন হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী সরকার সংবিধান সংস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানে সন্নিবেষ্টিত করবে। যার কারনে পরবর্তী সরকারের কোন এখতিয়ার থাকবে না রদবদলের। ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাব এনসিপির কাছে যথার্থ মনে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এমন উদাহরণ রয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশ যে ভালো পরিস্থিতিতে আছে এমন নয়। দেশের বহুমাত্রিক সংকট আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই সংকট উত্তরণের একটাই উপায়, নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখা এবং জনগণের সাথে প্রতারণা না করা। গণঅভুত্থানের পর জনগণের অনেক প্রত্যাশা ছিলো এই সরকারের উপর। মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে, তবে মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে, আবারো কোন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র আসবে কিনা, মানুষের কথা বলার জায়গাটা থাকবে কিনা এমন প্রশ্ন তৈরী হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন করে দেশে দুর্নীতি ও দুবৃত্তায়ন এবং চাঁদাবাজ, দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সামাজিক ফ্যাসিবাদের উত্থান দেখছি। দেশে নানামুখি সংকট আছে। পতিত স্বৈরাচারী শক্তি নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সাথে বৈদেশিক শক্তি জড়িত। ফলে আমরা একটা সংকটের মুখে আছি। এসব মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। সেই সাথে নিজেদের দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে এক জায়গা থাকতে হবে। কেননা নুন্যতম ঐক্য না থাকলে সরকার টিকে থাকা সম্ভব হবে না। এছাড়াও জনগণের যে দাবী, সংস্কার, বিচারের আকাঙ্খা তৈরী হয়েছে, সেগুলো পূরণ না করে উপেক্ষা করে নির্বাচনের দিকে গেলে সেটাও টেকসই হবে না। তাই অনেক সংস্কার চেয়েছি, কিন্তু সব কিছু সংস্কার সম্ভব না হলেও কিছু সংস্কারে একমত হয়েছি। সেটাও যদি না হয় তাহলে এই সরকারকে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারো উপর নির্ভরশীল বা মুখাপেক্ষি না থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কারো উপর নির্ভরশীল বা মুখাপেক্ষি থেকে আমরা রাজনীতি করবো না। দেশের প্রয়োজনে কিংবা নির্বাচনের কৌশলগত কারনে কারো সাথে সমঝোতা বা জোট করা লাগে আমরা প্রস্তুত আছি। এসময় তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে এককভাবে নেতৃত্ব দিবে কিংবা সরকার গঠন করবে। আসলে এটা সঠিক ভাবা হবে না।

শাপলা প্রতিক প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা শাপলা প্রতিক চেয়েছি। আমাদের শাপলা প্রতিক যদি না দেয়, তাহলে একটা নবগঠিত দলের সাথে বেইনসাফি করলে তো এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

সকাল থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা এবং ১টি মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

Please Share This Post in Your Social Media

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে স্বাক্ষর করবে এনসিপি

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

ঐকমত্য কমিশনের সর্বশেষ দুটি সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রথম প্রস্তাবকে সমর্থন জানাচ্ছে শর্ত সাপেক্ষে এনসিপি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে ও সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর পর্যটন মোটেলে বিভাগের সকল ইউনিটের পদ প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন জনগন ও রাজনৈতিক দলের আস্থা হারাচ্ছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হলে জুলাই সনদের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে হবে এবং পাশাপাশি  নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, গণঅভুত্থানের পর ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাই গণভোটে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলো অনুমোদন হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী সরকার সংবিধান সংস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে সংবিধানে সন্নিবেষ্টিত করবে। যার কারনে পরবর্তী সরকারের কোন এখতিয়ার থাকবে না রদবদলের। ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাব এনসিপির কাছে যথার্থ মনে হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এমন উদাহরণ রয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশ যে ভালো পরিস্থিতিতে আছে এমন নয়। দেশের বহুমাত্রিক সংকট আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই সংকট উত্তরণের একটাই উপায়, নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখা এবং জনগণের সাথে প্রতারণা না করা। গণঅভুত্থানের পর জনগণের অনেক প্রত্যাশা ছিলো এই সরকারের উপর। মানুষ পরিবর্তন চাচ্ছে, তবে মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে, আবারো কোন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র আসবে কিনা, মানুষের কথা বলার জায়গাটা থাকবে কিনা এমন প্রশ্ন তৈরী হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন করে দেশে দুর্নীতি ও দুবৃত্তায়ন এবং চাঁদাবাজ, দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সামাজিক ফ্যাসিবাদের উত্থান দেখছি। দেশে নানামুখি সংকট আছে। পতিত স্বৈরাচারী শক্তি নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সাথে বৈদেশিক শক্তি জড়িত। ফলে আমরা একটা সংকটের মুখে আছি। এসব মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। সেই সাথে নিজেদের দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে এক জায়গা থাকতে হবে। কেননা নুন্যতম ঐক্য না থাকলে সরকার টিকে থাকা সম্ভব হবে না। এছাড়াও জনগণের যে দাবী, সংস্কার, বিচারের আকাঙ্খা তৈরী হয়েছে, সেগুলো পূরণ না করে উপেক্ষা করে নির্বাচনের দিকে গেলে সেটাও টেকসই হবে না। তাই অনেক সংস্কার চেয়েছি, কিন্তু সব কিছু সংস্কার সম্ভব না হলেও কিছু সংস্কারে একমত হয়েছি। সেটাও যদি না হয় তাহলে এই সরকারকে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারো উপর নির্ভরশীল বা মুখাপেক্ষি না থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কারো উপর নির্ভরশীল বা মুখাপেক্ষি থেকে আমরা রাজনীতি করবো না। দেশের প্রয়োজনে কিংবা নির্বাচনের কৌশলগত কারনে কারো সাথে সমঝোতা বা জোট করা লাগে আমরা প্রস্তুত আছি। এসময় তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে এককভাবে নেতৃত্ব দিবে কিংবা সরকার গঠন করবে। আসলে এটা সঠিক ভাবা হবে না।

শাপলা প্রতিক প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা শাপলা প্রতিক চেয়েছি। আমাদের শাপলা প্রতিক যদি না দেয়, তাহলে একটা নবগঠিত দলের সাথে বেইনসাফি করলে তো এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

সকাল থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা এবং ১টি মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।