জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গণভোট প্রয়োজন : শিবির সভাপতি
- Update Time : ১০:৫১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮৪ Time View
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন জাহিদুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা ছিল। যদিও এখানে কিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ আছে। এরপরেও আলহামদুলিল্লাহ, যতটুকু হয়েছে, এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন ইতিহাস, নতুন মাইলফলক। আমরা আশা করি এটাকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অবশ্যই গণভোট আয়োজন করা দরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে শাখা ছাত্রশিবির এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুল মান্নান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, গ্রীণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং শাখা শিবির সেক্রেটারি ইউসুব আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের দুই সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু জুলাই সনদ ঐক্যের জন্য অনেকগুলো মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে। যদিও এটাকে অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা বলে একটি অর্ডিন্যান্স অন্য একটি দল এসে বিভিন্ন সময়ে সেটা আবার চেঞ্জ করে ফেলে। এজন্য গণভোট হলে আইনি ভিত্তি পাবে বা সবার একটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে, সেটা অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে অতটা পাবে না। এইজন্য আমরা গণভোটের পক্ষে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা বা আন্দোলন ছিল না। এই ঘটনায় টোটাল জেনারেশনের চিন্তার একটা জাগরণ হয়েছে আর তা হচ্ছে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের যে ফ্যাসিবাদী আচরণ, এটা মানুষ আর দেখতে চায় না। এখন মানুষ গঠনমূলক কাজ চায়। সাধারণ মানুষ আর আগের কালচারের রাজনীতিকে পছন্দ করছে না। যারা রাজনীতির নয়া স্বরূপ অথবা সত্যিকার অর্থে মানুষের কল্যাণের জন্য গঠনমূলক অ্যাজেন্ডা নিয়ে হাজির হবে, তারাই জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব পাবে।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিবির সভাপতি বলেন, বুদ্ধিমান ও বিশ্বাসীর কাজ হচ্ছে, তিনি কতটুকু পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন এর চেয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কতটুকু পথ এখনো সামনে বাকি রয়েছে, সেই হিসাব-নিকাশ করা। আজকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি শুধু সার্টিফিকেটের জন্য নয়। শুধু সার্টিফিকেট আমার মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয় বরং আমাকে চিন্তা করতে হবে, আমার ভিতরে যে শক্তিগুলো রয়েছে, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে দ্বিনের যে ফেতরাত রয়েছে, সে ফেতরাতকে জাগিয়ে তুলবো। সেই আলোকে আমি নিজে যেভাবে আলোকিত হবো, সমাজের সবাইকে আলোকিত করব।
তিনি আরও বলেন, পূর্বে ছাত্রশিবির ট্যাগ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো রাজনীতির নামে অপ-রাজনীতি। এ ধরনের রাজনীতি ক্যাম্পাসে নিজেরা তো চাই না, কাউকে সেটা করতেও দেবো না ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশে একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখন চিন্তার, কাজের ও পরিবেশের পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর গোলামীতন্ত্রের মধ্য দিয়ে কোনো রাজনীতি চলবে না। প্রত্যেককেই তার আদর্শ বাছাই, গ্রহণ ও চর্চা করার স্বাধীনতা দিতে হবে যেটা ইসলাম দিয়েছে।




































































































































































































