জুলাই-আগস্টের কথা আমাদের বলতেই হবে: প্রধান বিচারপতি

- Update Time : ০৩:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
- / ১৬ Time View
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আমাদের অবশ্যই ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্টের কথা বলতে হবে। যে মাসগুলো আমাদের জাতির বিবেককে জাগ্রত করেছিল।’
আজ বুধবার (২৮ মে) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) দেওয়া সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াডহ্যাম কলেজ থেকে আজীবন সম্মানসূচক ফেলোশিপ পাওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে প্রধান বিচারপতিকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যখন অনাচার দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। যখন বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান দখল করা হয় কেবল একটি গোষ্ঠির সেবা করার জন্য, যখন নিপীড়িতদের আর্তনাদ আদালতের রায়ের চেয়েও জোরে প্রতিধ্বনিত হয়, তখন জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি চত্বরে শাহবাগ ও শহীদ মিনারের প্রাণকেন্দ্রে তরুণ কণ্ঠ একক, দৃঢ় চিৎকারে বলে উঠেছিল, “আমরা ন্যায়বিচার চাই”। এটি কোনও স্লোগান ছিল না। এটি আদালত কক্ষে নয়, জনসাধারণের চত্বরে ঘোষিত একটি রায় ছিল।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নৈতিক স্বচ্ছতার ওই অভভুথান এমন একটি শাসনব্যবস্থার পতনের দিকে পরিচালিত করেছিল যারা আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল এবং ন্যায় বিচারের সঙ্গে আপস করেছিল। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিচার বিভাগকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। বিচারিক বৈধতার ভিত্তিগুলিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল যাদের সেবা করার জন্য আমরা তৈরি।’
সংবর্ধনার জবাবে তিনি বলেন, এই সম্মান কেবল একজন বিচারকের নয় বরং এমন একটি জাতির জন্য- যারা স্বৈরাচারের পরিবর্তে ন্যায়বিচার, প্রতারণার পরিবর্তে সত্য এবং নীরবতার পরিবর্তে সংস্কারকে বেছে নিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়