ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

জাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫২ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বাতিল এবং আবেদন ফি কমানোর দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখা।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক নকিব আল মাহমুদ। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসন আগের মতো শিফটভিত্তিক বৈষম্যমূলক পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে, ইউনিটের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আবেদন ফি অপরিবর্তিত রেখেছে। এটি মেধা যাচাই ও মেধার সুষ্ঠু বিকাশে প্রধান অন্তরায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং সংস্কারপূর্বক এর যথাযথ পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ের একটি সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নিলে যে অন্যায় ও অবিচার হয়, তার ফলাফল আমরা পূর্বেই দেখেছি। কোনো শিফটে অধিক শিক্ষার্থীর সুযোগ পাওয়া এবং কোনো শিফটে তা কম পাওয়া প্রমাণ করে, শিফটভিত্তিক প্রশ্নপত্রে সমতা নির্ণয় সম্ভব নয়। তাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী বৈষম্য লাঘবে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা না রাখা আমাদের হতাশ করে, শঙ্কিত করে।’

শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে একক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটকে প্রশাসন যেন ভুলে না যান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করেন। কিন্তু এ রকম বাড়তি পরীক্ষা ও বাড়তি ফি তাঁদের সেই স্বপ্নকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়। আমরা চাই না আবেদন ফির কারণে কারও ভর্তি পরীক্ষা না দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক। বৈষম্য বিলোপ করা যে প্রশাসনের মুখ্য দায়িত্ব ছিল, তাঁরা যেন সেই বৈষম্যকে বাড়িয়ে না তোলেন। প্রশাসনকে এটা আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে ভর্তি পরীক্ষা কোনো ভর্তি–বাণিজ্য নয়। যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভর্তি পরীক্ষাকে বাণিজ্যে রূপান্তরিত করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত এ প্রহসন আপনারা বন্ধ করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের গণদাবিকে উপেক্ষা করে প্রহসনমূলক এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য হব।’

Please Share This Post in Your Social Media

জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

জাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বাতিল এবং আবেদন ফি কমানোর দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখা।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক নকিব আল মাহমুদ। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসন আগের মতো শিফটভিত্তিক বৈষম্যমূলক পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে, ইউনিটের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আবেদন ফি অপরিবর্তিত রেখেছে। এটি মেধা যাচাই ও মেধার সুষ্ঠু বিকাশে প্রধান অন্তরায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং সংস্কারপূর্বক এর যথাযথ পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধা যাচাইয়ের একটি সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নিলে যে অন্যায় ও অবিচার হয়, তার ফলাফল আমরা পূর্বেই দেখেছি। কোনো শিফটে অধিক শিক্ষার্থীর সুযোগ পাওয়া এবং কোনো শিফটে তা কম পাওয়া প্রমাণ করে, শিফটভিত্তিক প্রশ্নপত্রে সমতা নির্ণয় সম্ভব নয়। তাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী বৈষম্য লাঘবে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা না রাখা আমাদের হতাশ করে, শঙ্কিত করে।’

শিফটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে একক পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটকে প্রশাসন যেন ভুলে না যান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করেন। কিন্তু এ রকম বাড়তি পরীক্ষা ও বাড়তি ফি তাঁদের সেই স্বপ্নকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়। আমরা চাই না আবেদন ফির কারণে কারও ভর্তি পরীক্ষা না দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক। বৈষম্য বিলোপ করা যে প্রশাসনের মুখ্য দায়িত্ব ছিল, তাঁরা যেন সেই বৈষম্যকে বাড়িয়ে না তোলেন। প্রশাসনকে এটা আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে ভর্তি পরীক্ষা কোনো ভর্তি–বাণিজ্য নয়। যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভর্তি পরীক্ষাকে বাণিজ্যে রূপান্তরিত করেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত এ প্রহসন আপনারা বন্ধ করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের গণদাবিকে উপেক্ষা করে প্রহসনমূলক এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সংস্কার না করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে আমরা বাধ্য হব।’