ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা,সাক্ষী করায় প্রতিবেশীর দোকানপাট-ভাংচুর

জামালপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৪৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ৮৮ Time View

ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে নিরুপায় হয়ে আইনের সহায়তা নেন ৬০ বছর বয়সী এক মা রহিমা বেওয়া। ছেলের শাস্তির দাবিতে আদালতে করেন মামলা। সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নামদেন স্থানীয় এক চা দোকানদার গাজিউর রহমানকে। মামলাতে সাক্ষী হওয়ার অপরাদে গাজিউর রহমান এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (চা দোকান) হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেছেন অভিযুক্ত ছেলে সোহাগ মিয়া।

শনিবার (২৪ মে) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী গাজিউর রহমান সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে সোহাগ মিয়া তার মা রহিমা বেওয়াকে একাধিকবার মারধর করে। এ ঘটনায় রহিমা বেওয়া বাদী হয়ে গত বছরের (২২ সেপ্টেম্বর) ছেলে সোহাগকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গাজিউর রহমানকে সাক্ষী হিসেবে নাম দেন রহিমা বেওয়া।

এদিকে মামলার সাক্ষী হওয়ায় সোহাগ মিয়া ক্ষীপ্ত হয়ে তার স্ত্রী শিউলি বেগম ও ছেলে সেলিম সহ ৪/৫ জন গাজিউর রহমানের দোকানে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় দোকানে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্র সহ সবকিছু ভাংচুর করে তিন লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় গাজিউর রহমান সরিষাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় গাজিউর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসী সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। যাকে খুশি তাকেই মারে। তার মা তার বিরুদ্ধে মারধরে মামলা করেছেন। আমাকে সাক্ষী দিছেন আমি সেটা জানি না। আজ হঠাত আমার দোকানে হামলা করে সোহাগ। অনেক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এর সঠিক বিচার আশা করেন তিনি।

আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘আমাদের সাক্ষী করায় সোহাগ লোকজন নিয়ে আমাদের দোকানপাট ভাংচুর করে আমরা তার বিচার চাই।

এঘটনায় সোহাগের মা রহিমা বেওয়া বলেন, ‘গাজিউরকে বলে আমি সাক্ষী হিসেবে তার নাম দেইনি। গাজী সব জানে আমার বিষয়ে সাক্ষী হয়েছে এটা তার কোন অপরাধ না। তবে আমার ছেলে যেটা করেছেন সেটা ঠিক হয়নি। আমি মা হিসেবে তার বিচার করবো।

এ-বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগ জানান, ‘ভাংচুর করেছি, আপনার ভিডিও করে নিয়ে যান। কিন্তু কেন ভাংচুর করছি সেটাতো আমি জানি। আমার মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছোট ভাই সোহেলের কথায় বানোয়াট মামলা করে আমাকে ফাঁসাতে চায় তারা।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ রাশেদুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। ভাংচুরের বিষয়টা জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

জামালপুরে ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা,সাক্ষী করায় প্রতিবেশীর দোকানপাট-ভাংচুর

জামালপুর প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:৪৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে নিরুপায় হয়ে আইনের সহায়তা নেন ৬০ বছর বয়সী এক মা রহিমা বেওয়া। ছেলের শাস্তির দাবিতে আদালতে করেন মামলা। সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে নামদেন স্থানীয় এক চা দোকানদার গাজিউর রহমানকে। মামলাতে সাক্ষী হওয়ার অপরাদে গাজিউর রহমান এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (চা দোকান) হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেছেন অভিযুক্ত ছেলে সোহাগ মিয়া।

শনিবার (২৪ মে) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী গাজিউর রহমান সরিষাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে সোহাগ মিয়া তার মা রহিমা বেওয়াকে একাধিকবার মারধর করে। এ ঘটনায় রহিমা বেওয়া বাদী হয়ে গত বছরের (২২ সেপ্টেম্বর) ছেলে সোহাগকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গাজিউর রহমানকে সাক্ষী হিসেবে নাম দেন রহিমা বেওয়া।

এদিকে মামলার সাক্ষী হওয়ায় সোহাগ মিয়া ক্ষীপ্ত হয়ে তার স্ত্রী শিউলি বেগম ও ছেলে সেলিম সহ ৪/৫ জন গাজিউর রহমানের দোকানে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় দোকানে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্র সহ সবকিছু ভাংচুর করে তিন লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় গাজিউর রহমান সরিষাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় গাজিউর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসী সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। যাকে খুশি তাকেই মারে। তার মা তার বিরুদ্ধে মারধরে মামলা করেছেন। আমাকে সাক্ষী দিছেন আমি সেটা জানি না। আজ হঠাত আমার দোকানে হামলা করে সোহাগ। অনেক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এর সঠিক বিচার আশা করেন তিনি।

আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘আমাদের সাক্ষী করায় সোহাগ লোকজন নিয়ে আমাদের দোকানপাট ভাংচুর করে আমরা তার বিচার চাই।

এঘটনায় সোহাগের মা রহিমা বেওয়া বলেন, ‘গাজিউরকে বলে আমি সাক্ষী হিসেবে তার নাম দেইনি। গাজী সব জানে আমার বিষয়ে সাক্ষী হয়েছে এটা তার কোন অপরাধ না। তবে আমার ছেলে যেটা করেছেন সেটা ঠিক হয়নি। আমি মা হিসেবে তার বিচার করবো।

এ-বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগ জানান, ‘ভাংচুর করেছি, আপনার ভিডিও করে নিয়ে যান। কিন্তু কেন ভাংচুর করছি সেটাতো আমি জানি। আমার মায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছোট ভাই সোহেলের কথায় বানোয়াট মামলা করে আমাকে ফাঁসাতে চায় তারা।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ রাশেদুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। ভাংচুরের বিষয়টা জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।