ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

জাবিতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮০ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করছে। কাজ হচ্ছে না কয়েল কিংবা অ্যারোসল ব্যবহারে। দিনের বেলায়ও হলের কক্ষগুলোতে টানাতে হচ্ছে মশারি। ভয়াবহ এ উপদ্রবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ক্যাম্পাসে নগরায়ণ, ঘন ঝোপঝাড়, ড্রেন, নর্দমা, ময়লা-আবর্জনা ও জলাশয়গুলোর নোংরা পানি এবং যত্রতত্র জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মশার উৎপত্তি বেশি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়মিত ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্টরা জানান, দিনের বেলায় কম হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই মশার উৎপাত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সন্ধ্যার পর মুক্তমঞ্চ, সেন্ট্রাল ফিল্ড, টিএসসি এলাকা এমনকি পুরো ক্যাম্পাসেই যেকোনো জায়গায় মশার উপদ্রবে বসা বা দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আবাসিক হল ও এলাকাগুলোয় রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন তারা। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন বলেন, রাত-দিন সব সময়ই মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার পর জানালা খোলা রাখাই যায় না। নিয়ম করে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদেরও অবহেলা রয়েছে।

শহীদ রফিক জাব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সিফাত ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবে থাকা বড়ই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে শুনলাম সামনে মশার পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের উচিৎ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এখন অব্দি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমন অবস্থা হচ্ছে যে দিনের বেলাতেও মশারী টানিয়ে রাখতে হবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। হলরুম, লাইব্রেরি কিংবা আড্ডার স্থান কোথাও মশা থেকে রেহাই নেই। যেখানেই যাই চারিদিকে শুধু মশা আর মশা। ড্রেন, লেক, পুকুরগুলোতে নেই নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। প্রশাসন আগে থেকে যদি পদক্ষেপ নিতো তাহলে মশার উপদ্রব এই পর্যায়ে পৌঁছাতো না। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় প্রশাসন মশা নিধনে ব্যর্থ।’

Please Share This Post in Your Social Media

জাবিতে মশার ভয়াবহ উপদ্রব, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করছে। কাজ হচ্ছে না কয়েল কিংবা অ্যারোসল ব্যবহারে। দিনের বেলায়ও হলের কক্ষগুলোতে টানাতে হচ্ছে মশারি। ভয়াবহ এ উপদ্রবে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ক্যাম্পাসে নগরায়ণ, ঘন ঝোপঝাড়, ড্রেন, নর্দমা, ময়লা-আবর্জনা ও জলাশয়গুলোর নোংরা পানি এবং যত্রতত্র জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মশার উৎপত্তি বেশি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়মিত ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকার কথা থাকলেও তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্টরা জানান, দিনের বেলায় কম হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই মশার উৎপাত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। সন্ধ্যার পর মুক্তমঞ্চ, সেন্ট্রাল ফিল্ড, টিএসসি এলাকা এমনকি পুরো ক্যাম্পাসেই যেকোনো জায়গায় মশার উপদ্রবে বসা বা দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। এছাড়া আবাসিক হল ও এলাকাগুলোয় রাতে মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন তারা। রাতের পাশাপাশি দিনের বেলায়ও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হয়।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বাধীন বলেন, রাত-দিন সব সময়ই মশার উপদ্রব বেড়েছে। সন্ধ্যার পর জানালা খোলা রাখাই যায় না। নিয়ম করে মশার ওষুধ ছিটানো হয় না। এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদেরও অবহেলা রয়েছে।

শহীদ রফিক জাব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সিফাত ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবে থাকা বড়ই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে শুনলাম সামনে মশার পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের উচিৎ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এখন অব্দি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমন অবস্থা হচ্ছে যে দিনের বেলাতেও মশারী টানিয়ে রাখতে হবে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলা ও অসচেতনতার কারণেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। হলরুম, লাইব্রেরি কিংবা আড্ডার স্থান কোথাও মশা থেকে রেহাই নেই। যেখানেই যাই চারিদিকে শুধু মশা আর মশা। ড্রেন, লেক, পুকুরগুলোতে নেই নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। প্রশাসন আগে থেকে যদি পদক্ষেপ নিতো তাহলে মশার উপদ্রব এই পর্যায়ে পৌঁছাতো না। এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় প্রশাসন মশা নিধনে ব্যর্থ।’