জাবিতে ঘুরতে এসে প্রলয় গ্যাংয়ের এক সদস্য আটক
- Update Time : ০৪:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ২৪১ Time View
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে এসে আটক হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত প্রলয় গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য তবারক মিয়া।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বটতলায় মাঝামাঝি স্থানে একটি চায়ের স্টলে বসে চা পান করছিলেন তবারক। এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা এসে তাকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন৷ জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় নিশ্চিত হলে তিনি জাবির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫১ ব্যাচের জিতাদিত্য বড়ুয়ার আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বান্ধবীসহ ঘুরতে এসেছেন বলে জানান। পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ রাত ১২ টার কিছু আগে এসে তাকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়। এসময় পার্শ্ববর্তী দোকানের পাশ থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৫০ গ্রাম পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

তবারক জানান, তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো থেকে তিনি ইতোমধ্যে অব্যাহতি পেয়েছেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমানের স্বাক্ষরিত একটি হলফনামাও প্রদর্শন করেন।
তবারকের সঙ্গে থাকা দুই নারী বলেন, মামলার কারণে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার ফলে তবারক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও দুই বছর বহিষ্কৃত হন। তাকে মানসিকভাবে স্বাভাবিক করতে তারা ঘুরতে এসেছেন এবং জাহাঙ্গীরনগরের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।
জাবি শিক্ষার্থী নাজমুল ও মার্জিউর জানান, তবারককে বটতলায় ফ্রেন্ডদের নিয়ে আসতে দেখে সন্দেহ হলে তারা তার পরিচয় জানতে চান। তবারক প্রলয় গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করলেও দাবি করেন, মামলায় তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ছাত্ররা আমাদের খবর দিয়েছে যে ঢাবির প্রলয় গ্যাংয়ের এক সদস্যকে এখান থেকে ধরা হয়েছে। আমার সাথে ঢাবির প্রক্টরের কথা হয়েছে। ওনারা বলেছেন মেয়েদের ছেড়ে দেয়ার জন্য। তবারককে পুলিশ থানায় নিয়ে যাক। ওর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে দায়িত্বরত আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা তবারককে থানা হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছি। তার সাথে থাকা দুই নারীকে পরিচয় লিখে রেখে ছেড়ে দিচ্ছি। তবারকের নামে কোন অভিযোগ আছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখবো। আমরা দোকানের পাশ থেকে পলিথিনে কিছু গাঁজা উদ্ধার করেছি।


































































































































































































