ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাদুঘর থেকে ফেরাউনের স্বর্ণের ব্রেসলেট চুরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৮১ Time View

মিশরের রাজধানী কায়রোর একটি জাদুঘর থেকে প্রায় তিন হাজার বছর পুরোনো একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট নিখোঁজ হয়ে গেছে। ফেরাউন আমেনেমোপের ব্রেসলেট ছিল এটি, যা ল্যাপিস লাজুলি পাথর দিয়ে সজ্জিত ছিল। ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ জাদুঘরের পুনর্নবীকরণ ল্যাবরেটরিতে এ ব্রেসলেটটি দেখা গিয়েছিল। এই ল্যাবরেটরি থেকেই সেটি নিখোঁজ হয়।

মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চুরির ঘটনা তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জনঅভিযোগ দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাচার রোধের জন্য দেশের সব বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর কতৃপক্ষের কাছে ব্রেসলেটের ছবি পাঠানো হয়েছে।

জাদুঘরের মহাপরিচালক জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ব্রেসলেটের ছবি ঘুরছে, সেটি আসলে প্রদর্শনীর অন্য একটি ব্রেসলেট; নিখোঁজ হওয়া ব্রেসলেটের ছবি নয়।

ঐতিহাসিকদের তথ্য মতে, ব্রেসলেটটির মালিক ছিলেন ফেরাউন আমেনেমোপ, যিনি খ্রিষ্টপূর্ব ১০৭৬ থেকে ৭২৩ সালের মধ্যে ২১তম রাজবংশের শাসক ছিলেন। প্রথমে সাধারণ কক্ষে তাকে দাফন করা হলেও পরবর্তী সময়ে শক্তিশালী শাসক প্রথম পসুসেনেসের পাশে দ্বিতীয়বারের মতো দাফন করা হয়। তার সমাধি ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক প্রত্নতত্ত্ববিদ ক্রিস্টোস সিরোজিয়ানিস বলেছেন, এই ধরনের ঘটনার পেছনে মূলত অবৈধ প্রত্নসম্পদ ব্যবসাই দায়ী। তার মতে, চোরেরা ব্রেসলেটটি হয় পাচার করে বিক্রি করবে, নয়তো গলিয়ে ফেলবে। আবার এমনও হতে পারে, কোনও ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের কাছে এটি জমা হবে, অথবা কয়েক দিনের মধ্যেই জাদুঘরের আশপাশে ফেলে রাখা অবস্থায় উদ্ধার হবে।

এ ঘটনার পর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পুনর্নবীকরণ ল্যাবের সব প্রত্নবস্তু বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ও পর্যালোচনা করা হবে। গত বছরও দুটি চোরাচালানকারীকে আটক করা হয়েছিল, যারা শত শত প্রত্নসম্পদ পাচারের চেষ্টা করছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

জাদুঘর থেকে ফেরাউনের স্বর্ণের ব্রেসলেট চুরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১২:২২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মিশরের রাজধানী কায়রোর একটি জাদুঘর থেকে প্রায় তিন হাজার বছর পুরোনো একটি স্বর্ণের ব্রেসলেট নিখোঁজ হয়ে গেছে। ফেরাউন আমেনেমোপের ব্রেসলেট ছিল এটি, যা ল্যাপিস লাজুলি পাথর দিয়ে সজ্জিত ছিল। ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সর্বশেষ জাদুঘরের পুনর্নবীকরণ ল্যাবরেটরিতে এ ব্রেসলেটটি দেখা গিয়েছিল। এই ল্যাবরেটরি থেকেই সেটি নিখোঁজ হয়।

মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই চুরির ঘটনা তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জনঅভিযোগ দপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাচার রোধের জন্য দেশের সব বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর কতৃপক্ষের কাছে ব্রেসলেটের ছবি পাঠানো হয়েছে।

জাদুঘরের মহাপরিচালক জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ব্রেসলেটের ছবি ঘুরছে, সেটি আসলে প্রদর্শনীর অন্য একটি ব্রেসলেট; নিখোঁজ হওয়া ব্রেসলেটের ছবি নয়।

ঐতিহাসিকদের তথ্য মতে, ব্রেসলেটটির মালিক ছিলেন ফেরাউন আমেনেমোপ, যিনি খ্রিষ্টপূর্ব ১০৭৬ থেকে ৭২৩ সালের মধ্যে ২১তম রাজবংশের শাসক ছিলেন। প্রথমে সাধারণ কক্ষে তাকে দাফন করা হলেও পরবর্তী সময়ে শক্তিশালী শাসক প্রথম পসুসেনেসের পাশে দ্বিতীয়বারের মতো দাফন করা হয়। তার সমাধি ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক প্রত্নতত্ত্ববিদ ক্রিস্টোস সিরোজিয়ানিস বলেছেন, এই ধরনের ঘটনার পেছনে মূলত অবৈধ প্রত্নসম্পদ ব্যবসাই দায়ী। তার মতে, চোরেরা ব্রেসলেটটি হয় পাচার করে বিক্রি করবে, নয়তো গলিয়ে ফেলবে। আবার এমনও হতে পারে, কোনও ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের কাছে এটি জমা হবে, অথবা কয়েক দিনের মধ্যেই জাদুঘরের আশপাশে ফেলে রাখা অবস্থায় উদ্ধার হবে।

এ ঘটনার পর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পুনর্নবীকরণ ল্যাবের সব প্রত্নবস্তু বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ও পর্যালোচনা করা হবে। গত বছরও দুটি চোরাচালানকারীকে আটক করা হয়েছিল, যারা শত শত প্রত্নসম্পদ পাচারের চেষ্টা করছিল।