‘জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫’ পেলেন শেকৃবির অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব

- Update Time : ০৯:১৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪০৯ Time View
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫’ অর্জন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব।
আজ রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার হাতে এই পদক তুলে দেন।
অধ্যাপক হাবীব দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইলিশ মাছ কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি এবং দিনে ও রাতে নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদনে এসএইউ-ডিওএফ স্মার্ট সোলার সান ড্রায়ার উদ্ভাবন করেছেন। পাশাপাশি, তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মেরিন বায়োডাইভার্সিটি পোর্টাল অফ বাংলাদেশ’ ও ‘ফ্রেশ ওয়াটার বায়োডাইভার্সিটি পোর্টাল অফ বাংলাদেশ’, যা দেশের জলজ জীববৈচিত্র্যের তথ্যসংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
গবেষণা ও বই রচনায়ও তিনি রেখে গেছেন বিশেষ অবদান। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য নিয়ে তাঁর একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি ইউনেস্কো কর্তৃক প্রকাশিত একটি অ্যালবামে সেন্ট মার্টিনের পানির নিচের প্রবাল ও জীববৈচিত্র্যের তথ্য ও ছবি স্থান পেয়েছে তাঁর গবেষণা দলের মাধ্যমে। তাছাড়া মাধ্যমিক স্কুলের কৃষি শিক্ষা বইয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অংশের লেখকও তিনি।
অধ্যাপক হাবীবের প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ৬০টিরও বেশি। তিনি বাংলাদেশে প্রাপ্ত সামুদ্রিক মাছের তালিকা হালনাগাদ করে প্রজাতির সংখ্যা ৪৭৫ থেকে ৭৪০-এ উন্নীত করেন। এছাড়াও ইউনেস্কোর সহযোগিতায় ই-ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দরবনের জলজ জীববৈচিত্র্য নিরূপণে গবেষণা পরিচালনা করেন তিনি। তাঁর গবেষণার ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক পেটেন্টও নিবন্ধিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি সক্রিয়ভাবে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি WESTPAC, JSPS এবং Ocean Biomolecular Observing Network (OBON)-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার বৈজ্ঞানিক কমিটির দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি শেকৃবিতে ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি ছিলেন অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী।
তাঁর এই অর্জনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, “এটি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক গর্বের বিষয়। আমরা শেকৃবি পরিবার তার এই সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত।” উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন এবং ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল বাশারও তাকে অভিনন্দন জানান।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়