জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে : প্রেস সচিব

- Update Time : ০৯:১৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
- / ১৭ Time View
জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে, একদিনও দেরি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় অবস্থানে আছেন। প্রফেসর ইউনূস যে সময় বলেছেন, তার থেকে একটা দিনও দেরি হবে না। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো বাধা থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আগামী পাঁচ-ছয় দিনে আমরা বুঝব, আমরা কোথায় যাচ্ছি। তবে যা কিছুই হোক না কেন, নির্বাচনে দেরি হবে না।
তিনি বলেন, ড.ইউনূস প্রথমে বলেছিলেন এপ্রিলের প্রথমে। তারপর আমরা লন্ডনে বলেছি, যদি অনেকগুলো সংস্কার হয় কাজগুলো এগিয়ে যায়,সেক্ষেত্রে এটা ফেব্রুয়ারিতেই হবে। আমরা সেই জায়গায় এখনো আছি। এটা একটা দিনও দেরি হবে না। তবে আগামী পাঁচ-ছয়টা দিন খুবই ক্রুসিয়াল।
শফিকুল আলম বলেন, আগামী পাঁচ-ছয় দিন সরকারের জন্য কঠিন সময় হলেও দেশে নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। দেশের মানুষ এক থাকলে দু-একজন মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে আশা প্রকাশ করে প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে। কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর কোনো প্রভাব পড়বে না। জিরো ভায়োলেন্সে (সহিংসতা মুক্ত) এবারের নির্বাচন হবে।
একটি ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতি থেকে সরকার দেশকে পুনরুদ্ধার করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমছে। রিজার্ভ বাড়ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। পুলিশের মধ্যে মনোবল বাড়ছে ধীরে ধীরে।
প্রেস সচিব বলেন, দেশের ফরেন পলিসি (বৈদেশিক নীতি) আগের সরকার বিদেশিদের কাছে বন্ধক দিয়েছিল। বর্তমান সরকার ভারতসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করছে।
এই সরকারের সময় গণমাধ্যম অবাধে কাজ করতে পারছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কেউ বাধার মুখে পড়ছে না। সরকারের সমালোচনা করে সাংবাদিকতা করতে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। যদি কেউ সমস্যার মুখোমুখি হন, তিনি আমাকে জানাবেন।
গণমাধ্যমের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রেস সচিব বলেন, যেসব গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন দিতে পারে না, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এসব গণমাধ্যমই ভুল তথ্য এবং অপতথ্য ছড়ায়।
চাঁদাবাজির বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স। প্রমাণ পেলে যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পলিটিক্যাল পার্টির ফান্ড রেইজিংয়ের (তহবিল গঠন) বিষয়ে স্বচ্ছতা নেই, যেটি দুঃখজনক।
বিএসআরএফ সংলাপে এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো.নিজামূল কবীর,বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল হক,সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল,বিএসআরএফ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা।