ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নাগরিক পাটি’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন নুসরাত তাবাসসুম

আব্দুস সবুর, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:২১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / ১২৪ Time View

জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের কৃতি সন্তান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম।

নুসরাত তাবাসসুম এর বাবা আব্দুল হালিম মাষ্টার কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

৩৬ দিনের যে আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন,তার অগ্রভাবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা নুসরাত তাবাসসুম। তখন তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।

দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা থেকে শুরু করে বিক্ষোভের ময়দানে দিনের পর দিন সোচ্চার নেতৃত্বে দেখা গেছে ২৪ বছরের এই তরুণীকে। সেজন্য তাকে যেতে হয়েছে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন সিন্ডিকেটের তৈরি টর্চার সেল ও ‘আয়নাঘরেও’।

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের মুক্ত করেছে ছাত্র-জনতা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার কৃতি সন্তান নুসরাত তাবাসসুম।

প্রায় ২০০ বছরের উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসাবে পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা ১৯৪৭ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করে এই বাংলার জনগন।কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্র এই জনপদের মানুষের সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক মুক্তির আকাংখাকে ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে এই জনপদের মানুষ ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।

কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে প্রণীত মুজিববাদী সংবিধানের মধ্য দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো অগনতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিয়েছে। যার ফলে এদেশের নাগরিকরা ইতিহাসের বিভিন্ন পরিক্রমায় বাকশাল, স্বৈরতন্ত্র এবং সর্বশেষ ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছে।এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো থেকে ফ্যাসিবাদের সকল উপাদান ও কাঠামোকে বিলোপ করতে এবং এই জনপদের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপদানে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নিয়েছে ২৪-জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারীগন।

জাতীয় নাগরিক কমিটি(এনসিপি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁর নিজ জেলা,উপজেলা ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নুসরাত তাবাসসুম বলেন,বর্তমান কমিটিতে নেই এমন অন্তত ৩০ শতাংশ নতুন মুখ যুক্ত করে দেড়শ থেকে ২০০ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হবে দলের গোড়াপত্তান।ধীরে ধীরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা আরো বাড়বে।ততদিনে সমান্তরালভাবে জেলা,উপজেলা কমিটিগুলো গঠন করা হবে।সারা দেশে এ দলের কাঠামো ছড়িয়ে দিতে একের পর এক থানা কমিটি দিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।দলের গঠনতন্ত্র,দর্শন,ঘোষণাপত্র,দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করতে চলছে নানা তৎপরতা।দেশের জনগনের সার্বিক সহযোগীতায় আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় নাগরিক পাটি’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন নুসরাত তাবাসসুম

আব্দুস সবুর, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:২১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান গ্রামের কৃতি সন্তান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম।

নুসরাত তাবাসসুম এর বাবা আব্দুল হালিম মাষ্টার কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

৩৬ দিনের যে আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন,তার অগ্রভাবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা নুসরাত তাবাসসুম। তখন তিনি ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক।

দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা থেকে শুরু করে বিক্ষোভের ময়দানে দিনের পর দিন সোচ্চার নেতৃত্বে দেখা গেছে ২৪ বছরের এই তরুণীকে। সেজন্য তাকে যেতে হয়েছে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন সিন্ডিকেটের তৈরি টর্চার সেল ও ‘আয়নাঘরেও’।

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের মুক্ত করেছে ছাত্র-জনতা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার কৃতি সন্তান নুসরাত তাবাসসুম।

প্রায় ২০০ বছরের উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হিসাবে পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা ১৯৪৭ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করে এই বাংলার জনগন।কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্র এই জনপদের মানুষের সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক মুক্তির আকাংখাকে ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থেকে এই জনপদের মানুষ ১৯৭১ সালে একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।

কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে প্রণীত মুজিববাদী সংবিধানের মধ্য দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো অগনতান্ত্রিক স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দিয়েছে। যার ফলে এদেশের নাগরিকরা ইতিহাসের বিভিন্ন পরিক্রমায় বাকশাল, স্বৈরতন্ত্র এবং সর্বশেষ ফ্যাসিবাদের শিকার হয়েছে।এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো থেকে ফ্যাসিবাদের সকল উপাদান ও কাঠামোকে বিলোপ করতে এবং এই জনপদের মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপদানে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নিয়েছে ২৪-জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারীগন।

জাতীয় নাগরিক কমিটি(এনসিপি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁর নিজ জেলা,উপজেলা ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নুসরাত তাবাসসুম বলেন,বর্তমান কমিটিতে নেই এমন অন্তত ৩০ শতাংশ নতুন মুখ যুক্ত করে দেড়শ থেকে ২০০ জনের একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে হবে দলের গোড়াপত্তান।ধীরে ধীরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা আরো বাড়বে।ততদিনে সমান্তরালভাবে জেলা,উপজেলা কমিটিগুলো গঠন করা হবে।সারা দেশে এ দলের কাঠামো ছড়িয়ে দিতে একের পর এক থানা কমিটি দিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।দলের গঠনতন্ত্র,দর্শন,ঘোষণাপত্র,দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করতে চলছে নানা তৎপরতা।দেশের জনগনের সার্বিক সহযোগীতায় আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।