ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাকির মৃত্যুতে স্তব্ধ ক্রিকেটাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২১ Time View

দলের সঙ্গে একই বাসে স্টেডিয়ামে এলেন। ম্যাচের আগে ওয়ার্মআপেও অংশ নিলেন। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন—এতক্ষণ বলছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পেস বোলিং কোচ ও ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ মাহবুব আলি জাকির কথা। বিপিএলের ম্যাচ শুরুর আগেই হৃদ রোগে আক্রান্ত হন তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যুবরণ করেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, তাসকিন আহমেদদের এই কোচ। ৫৯ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করা জাকির শোকে স্তব্ধ ক্রিকেটাঙ্গন। মাশরাফি, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে হাসান মাহমুদরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।

মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রধান ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘মাঠে হার্ট অ্যাটাক করার পর তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক তিনি নিঃশ্বাস ফিরে পান এবং সাড়া দেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরিভাবে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও পথে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন।’ কোচ জাকির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিসিবি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) এক বিবৃতিতে গুণী এই কোচের বিদায়কে স্মরণ করেছে। পেস বোলারদের গুরু ছিলেন তিনি। নানা সময়ে তার সহযোগিতা নিতে দেখা গেছে পেসারদের। মাশরাফির লেখাতেও সেটা স্পষ্ট উঠে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক এই পেসার লিখেন, ‘জাকি ভাই, জীবনে আপনার সঙ্গে বোলিং নিয়ে কতবার কথা বলেছি তার কোনো হিসাব নেই। বোলিংয়ের বায়োমেকানিক্স সম্ভবত বাংলাদেশে আপনিই সবচেয়ে ভালো বুঝতেন। আজ (গতকাল) আপনি আপনার প্রিয় সেই মাঠ থেকেই বিদায় নিলেন। ওপারে ভালো থাকবেন ভাই।’ জাকির সঙ্গে কাজ করা না হলেও অভিজ্ঞ এই কোচের সঙ্গে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পরিচিত ছিলেন সাকিব। মৃত্যুর খবরে ব্যথিত হয়ে সাকিব লিখেন, ‘কোচ মাহবুব আলী জাকির মৃত্যুসংবাদ শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও দুঃখিত। আমি আমার পেশাদার ক্রিকেটের প্রথম দিন থেকেই তাকে চিনতাম এবং তার সঙ্গে কাটানো সুন্দর স্মৃতিগুলো আমার মনে আছে। তার শেষ মুহূর্তও কেটেছে একটি ক্রিকেট মাঠে, তার সবচেয়ে প্রিয় কাজে। তার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।’

এই তো কয়েক মাস আগেই মাঠে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালেরও। তবে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে বেঁচেও ফিরেন তিনি। নিজের সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শোকাহত তামিম লিখেছেন, ‘জাকি ভাইয়ের আকস্মিক প্রয়াণে গভীর শোকে স্তব্ধ হয়ে আছি। ক্রিকেট মাঠে আমি নিজেও একই রকম ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, আজও সেই স্মৃতি বুক কাঁপিয়ে তোলে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তখন বেঁচে গিয়েছিলাম, কিন্তু জাকি ভাই আমাদের মাঝ থেকে চিরতরে চলে গেলেন। আল্লাহ তাআলা যেন জাকি ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই অসহনীয় বেদনা সহ্য করার শক্তি ও ধৈর্য দান করেন।’

একটা সময় খেলোয়াড় ছিলেন জাকি। ক্রিকেটকে ভালোবেসেই কোচিং পেশায় আসেন তিনি। এরপর থেকেই কোচিংয়ের সঙ্গে। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তেও শিষ্যদের বোলিং টিপস দিয়ে গেছেন তিনি। ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপজয়ের সঙ্গীও। তবে তাসকিন, শরীফুলদের সঙ্গে খুটিনাটি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার অনেক। বিশেষ করে তাসকিনের ফিরে আসার কারিগর হিসেবেও কৃতিত্ব তার। বোলিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর চোট—সব মিলিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়া তাসকিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন যেন শুধরেছেন, তেমনি তাসকিনকে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অবদান রেখেছিলেন তিনি। প্রিয় কোচের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে তাসকিনকেও। তিনি লিখেন, ‘ঢাকা ক্যাপিটালসের আমাদের সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ম্যাচের ঠিক আগে তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওয়ার্ম আপ করছিলেন। কোচ, শান্তিতে ঘুমাও। তার পরিবার এবং পুরো ঢাকা ক্যাপিটালস পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।’ ঢাকা ক্যাপিটালস ম্যাচটি জিতেছেও। জয়ের নায়ক পাকিস্তান স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম স্মরণ করেছেন জাকিকে, ‘প্রথমত আমাদের সহকারী কোচ জাকি দারুণ একজন মানুষ ছিলেন। উনি মারা গেছেন, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক। সেই সঙ্গে আল্লাহ তার পরিবারকে ধৈর্য ধরার শক্তি দিক।’

জাকির এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শরিফুল ইসলামও। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ তুলে ধরে তিনি স্মৃতি লিখেন, ‘খবরটা শুনে এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না—আপনি আর আমাদের মাঝে নেই মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার। অনূর্ধ্ব-১৯ সময় থেকে আপনার হাত ধরেই আমাদের শেখা শুরু, এরপর বিশ্বকাপ জয়—প্রতিটি মুহূর্তে আপনি পাশে ছিলেন অভিভাবকের মতো।’ বিগ ব্যাশে ব্যস্ত থাকা রিশাদ হোসেনের নজরও এড়ায়নি। তিনিও লিখেন, ‘সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে যখন শুনছি মাহবুব আলী জাকি স্যার আর আমাদের মাঝে নেই, অনেক কষ্ট অনুভব করছি।’ ক্রিকেটার ছাড়াও ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সবাইকে শোকে ভাসিয়ে বিদায় নিয়েছেন জাকি। সিলেট স্টেডিয়ামে তার প্রথম জায়নামাজে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার, কোচ, বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।

Please Share This Post in Your Social Media

জাকির মৃত্যুতে স্তব্ধ ক্রিকেটাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১২:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

দলের সঙ্গে একই বাসে স্টেডিয়ামে এলেন। ম্যাচের আগে ওয়ার্মআপেও অংশ নিলেন। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন—এতক্ষণ বলছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পেস বোলিং কোচ ও ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ মাহবুব আলি জাকির কথা। বিপিএলের ম্যাচ শুরুর আগেই হৃদ রোগে আক্রান্ত হন তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যুবরণ করেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, তাসকিন আহমেদদের এই কোচ। ৫৯ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করা জাকির শোকে স্তব্ধ ক্রিকেটাঙ্গন। মাশরাফি, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে হাসান মাহমুদরাও শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।

মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রধান ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘মাঠে হার্ট অ্যাটাক করার পর তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক তিনি নিঃশ্বাস ফিরে পান এবং সাড়া দেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরিভাবে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও পথে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন।’ কোচ জাকির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিসিবি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) এক বিবৃতিতে গুণী এই কোচের বিদায়কে স্মরণ করেছে। পেস বোলারদের গুরু ছিলেন তিনি। নানা সময়ে তার সহযোগিতা নিতে দেখা গেছে পেসারদের। মাশরাফির লেখাতেও সেটা স্পষ্ট উঠে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক এই পেসার লিখেন, ‘জাকি ভাই, জীবনে আপনার সঙ্গে বোলিং নিয়ে কতবার কথা বলেছি তার কোনো হিসাব নেই। বোলিংয়ের বায়োমেকানিক্স সম্ভবত বাংলাদেশে আপনিই সবচেয়ে ভালো বুঝতেন। আজ (গতকাল) আপনি আপনার প্রিয় সেই মাঠ থেকেই বিদায় নিলেন। ওপারে ভালো থাকবেন ভাই।’ জাকির সঙ্গে কাজ করা না হলেও অভিজ্ঞ এই কোচের সঙ্গে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পরিচিত ছিলেন সাকিব। মৃত্যুর খবরে ব্যথিত হয়ে সাকিব লিখেন, ‘কোচ মাহবুব আলী জাকির মৃত্যুসংবাদ শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও দুঃখিত। আমি আমার পেশাদার ক্রিকেটের প্রথম দিন থেকেই তাকে চিনতাম এবং তার সঙ্গে কাটানো সুন্দর স্মৃতিগুলো আমার মনে আছে। তার শেষ মুহূর্তও কেটেছে একটি ক্রিকেট মাঠে, তার সবচেয়ে প্রিয় কাজে। তার পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।’

এই তো কয়েক মাস আগেই মাঠে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালেরও। তবে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে বেঁচেও ফিরেন তিনি। নিজের সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শোকাহত তামিম লিখেছেন, ‘জাকি ভাইয়ের আকস্মিক প্রয়াণে গভীর শোকে স্তব্ধ হয়ে আছি। ক্রিকেট মাঠে আমি নিজেও একই রকম ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, আজও সেই স্মৃতি বুক কাঁপিয়ে তোলে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তখন বেঁচে গিয়েছিলাম, কিন্তু জাকি ভাই আমাদের মাঝ থেকে চিরতরে চলে গেলেন। আল্লাহ তাআলা যেন জাকি ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে এই অসহনীয় বেদনা সহ্য করার শক্তি ও ধৈর্য দান করেন।’

একটা সময় খেলোয়াড় ছিলেন জাকি। ক্রিকেটকে ভালোবেসেই কোচিং পেশায় আসেন তিনি। এরপর থেকেই কোচিংয়ের সঙ্গে। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তেও শিষ্যদের বোলিং টিপস দিয়ে গেছেন তিনি। ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপজয়ের সঙ্গীও। তবে তাসকিন, শরীফুলদের সঙ্গে খুটিনাটি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার অনেক। বিশেষ করে তাসকিনের ফিরে আসার কারিগর হিসেবেও কৃতিত্ব তার। বোলিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর চোট—সব মিলিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়া তাসকিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন যেন শুধরেছেন, তেমনি তাসকিনকে বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক অবদান রেখেছিলেন তিনি। প্রিয় কোচের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে তাসকিনকেও। তিনি লিখেন, ‘ঢাকা ক্যাপিটালসের আমাদের সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ম্যাচের ঠিক আগে তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওয়ার্ম আপ করছিলেন। কোচ, শান্তিতে ঘুমাও। তার পরিবার এবং পুরো ঢাকা ক্যাপিটালস পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।’ ঢাকা ক্যাপিটালস ম্যাচটি জিতেছেও। জয়ের নায়ক পাকিস্তান স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম স্মরণ করেছেন জাকিকে, ‘প্রথমত আমাদের সহকারী কোচ জাকি দারুণ একজন মানুষ ছিলেন। উনি মারা গেছেন, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক। সেই সঙ্গে আল্লাহ তার পরিবারকে ধৈর্য ধরার শক্তি দিক।’

জাকির এমন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শরিফুল ইসলামও। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ তুলে ধরে তিনি স্মৃতি লিখেন, ‘খবরটা শুনে এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না—আপনি আর আমাদের মাঝে নেই মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার। অনূর্ধ্ব-১৯ সময় থেকে আপনার হাত ধরেই আমাদের শেখা শুরু, এরপর বিশ্বকাপ জয়—প্রতিটি মুহূর্তে আপনি পাশে ছিলেন অভিভাবকের মতো।’ বিগ ব্যাশে ব্যস্ত থাকা রিশাদ হোসেনের নজরও এড়ায়নি। তিনিও লিখেন, ‘সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে যখন শুনছি মাহবুব আলী জাকি স্যার আর আমাদের মাঝে নেই, অনেক কষ্ট অনুভব করছি।’ ক্রিকেটার ছাড়াও ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের সবাইকে শোকে ভাসিয়ে বিদায় নিয়েছেন জাকি। সিলেট স্টেডিয়ামে তার প্রথম জায়নামাজে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার, কোচ, বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।