জাককানইবিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ ও ‘স্মৃতিতে জুলাই’ শিরোনামে রচনা ও স্মৃতিকথা প্রতিযোগিতা

- Update Time : ০৬:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / ১৫ Time View
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক রচনা এবং “স্মৃতিতে জুলাই” শিরোনামের স্মৃতিকথা প্রতিযোগিতা। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের স্মরণে এ আয়োজন করছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি’ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ।
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিহাস, আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ ঘটানোই তাদের মূল লক্ষ্য। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের লেখা থেকে প্রজন্মের কাছে পৌঁছবে একটি ঐতিহাসিক বার্তা কীভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে উঠেছে এবং আজকের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে।
প্রতিযোগিতার নির্দেশনা:
১. প্রতিযোগিতায় কেবল জাককানইবির নিয়মিত শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন।
২. রচনার দৈর্ঘ্য ১৫০০–২০০০ শব্দ এবং স্মৃতিকথার দৈর্ঘ্য ৫০০–৭৫০ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
৩. লেখা অবশ্যই সৃজনশীল, তথ্যনির্ভর এবং সুতন্নি এমজে ফন্টে প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায় রচিত হতে হবে।
৪. বিদ্বেষমূলক ভাষা, অসত্য বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
৫. পূর্বে অন্য কোথাও প্রকাশিত লেখা জমা দিলে তা বাতিল হবে।
৬. লেখার সঙ্গে শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ, শ্রেণি, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডের কপি সংযুক্ত করতে হবে।
লেখা জমার শেষ তারিখ:
২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার (বিকেল ৫টার পর জমাকৃত লেখা গ্রহণযোগ্য হবে না)।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা:
১. ইমেইল: [email protected]
২. হোয়াটসঅ্যাপ: +৮৮০১৭৪২২৭৩৪৯৬
৩. সরাসরি জমা: বিভাগীয় প্রধানের কার্যালয়, ইতিহাস বিভাগ, জাককানইবি
পুরস্কার ও প্রকাশনা:
রচনা ও স্মৃতিকথা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের প্রথম পাঁচজনকে সনদ, বই ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে। পাশাপাশি বিজয়ীদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত হবে একটি বিশেষ স্মারকগ্রন্থ ‘জুলাই স্মরণিকা’। প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত যাবতীয় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ইতিহাস বিভাগের প্রধান ও কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, “এই আয়োজন কেবল সাহিত্যিক চর্চা নয়, বরং ইতিহাসকে অনুভব করার এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা পৌঁছে দেওয়ার একটি দায়িত্বশীল প্রচেষ্টা।”