ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গী ফ্লাইওভারে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে ৪ কর্মকর্তা  নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু নিস্পত্তির মাধ্যমে মামলা জট কমিয়ে বিচার কাজ এগিয়ে নিতে হবে আদালত থেকে হাতকড়াসহ লাফ দিয়ে হত্যা মামলার আসামির পালানোর চেষ্টা নয় বছর পর ফিরছে ‘ব্রিকলেন কারি ফ্যাস্টিভ্যাল’ ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতির সম্মানে প্রধান বিচারপতির নৈশভোজ চাইলেই দেড় বছরে সংস্কার সম্ভব নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা টিভি দেখতে দেখতেই ব্রেন স্ট্রোক করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী যেদিন রাস্তায় নামব, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী

জমকালো আয়োজনে ২৫ বছরে পদার্পণ শেকৃবির

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:০২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৮৮ Time View

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দ-উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় দিনব্যাপী এ আয়োজন।

সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর আগে কৃষি অনুষদের সম্মুখ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

শোভাযাত্রাটি কৃষি অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের সয়েল মোড়, এম. মহবুবউজ্জামান ভবন, ভিসি বাংলো ও টিএসসি প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল বাশার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরফান আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “১৯৩৮ সালে বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট হিসেবে যাত্রা শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান আজ দেশের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ নাম ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হকের উদ্যোগে ‘বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এ প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদে ‘Sher-e-Bangla Agricultural University Act’ পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। প্রথম উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. শাদাত উল্লাহ। বর্তমানে এখানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ও ৩৭০ জন শিক্ষক শিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছেন।

২৪ বছরের পথচলায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কৃষি শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে প্রাক্তনদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে একই স্লোগান – “কৃষিই সমৃদ্ধি, কৃষিই আগামী।”

Please Share This Post in Your Social Media

জমকালো আয়োজনে ২৫ বছরে পদার্পণ শেকৃবির

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:০২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ক্যাম্পাসজুড়ে আনন্দ-উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় দিনব্যাপী এ আয়োজন।

সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর আগে কৃষি অনুষদের সম্মুখ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

শোভাযাত্রাটি কৃষি অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের সয়েল মোড়, এম. মহবুবউজ্জামান ভবন, ভিসি বাংলো ও টিএসসি প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল বাশার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরফান আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “১৯৩৮ সালে বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট হিসেবে যাত্রা শুরু করা এ প্রতিষ্ঠান আজ দেশের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ‘বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ নাম ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

১৯৩৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হকের উদ্যোগে ‘বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এ প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদে ‘Sher-e-Bangla Agricultural University Act’ পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। প্রথম উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. শাদাত উল্লাহ। বর্তমানে এখানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী ও ৩৭০ জন শিক্ষক শিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছেন।

২৪ বছরের পথচলায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কৃষি শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে প্রাক্তনদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে একই স্লোগান – “কৃষিই সমৃদ্ধি, কৃষিই আগামী।”