ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

জনপ্রিয় আইরিশ সংগীতশিল্পী সিনিড ও’কনর আর নেই

নওরোজ বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:২১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৫৯ Time View

মারা গেছেন জনপ্রিয় আইরিশ সংগীতশিল্পী এবং অ্যাক্টিভিস্ট সিনিড ও’কনর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

গায়িকার পরিবারের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনিড ও’কনরের পরিবার খুবই দুঃখের সঙ্গে গায়িকার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা বিধ্বস্ত বলে জানানো হয়েছে ঘোষণায়।

সিনিড ও’কনরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। তিনি বলেন, সিনিড ও’কনরের গান বিশ্ববাসীর প্রিয় ছিল এবং তার প্রতিভা ছিল অতুলনীয়।

জানা যায়, ২০১৮ সালে এ গায়িকা ঘোষণা করেন-ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি। জানিয়েছিলেন, নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রেখেছেন শুহাদা। সেই সময় টুইটারে এক বার্তায় তাকে মুসলমান হতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন এ গায়িকা।

১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নাথিং কমপেয়ার্স টু ইউ’ গানটির জন্য বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন সিনিড ও’কনর। ওই বছরের হিট গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল গানটি। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘দ্য লায়ন অ্যান্ড দ্য কোবরা’ প্রকাশ হয়। যা যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ৪০-এ জায়গা করে নেয়। ১৯৮৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০টি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বরে কাউন্টি ডাবলিনের গেøনাগারিতে সাইনাড মেরি বার্নাডেট জন্মগ্রহণ করেন সিনিড ও’কনর। গার শৈশব খুবই কঠিন ছিল।

কিশোর বয়সে ডাবলিনের অ্যান গ্রিয়ানান ট্রেনিং সেন্টারে রাখা হয়েছিল তাকে। যা একসময় কুখ্যাত ম্যাগডালিন লন্ড্রিগুলোর একটি ছিল। যা মূলত অল্পবয়সী মেয়েদের বন্দি রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

সিনিড ও’কনরকে একজন সন্ন্যাসী গিটার কিনে দিয়েছিলেন এবং একজন সংগীত শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেন ওই সন্ন্যানী। সেখান থেকে সংগীত ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়া শুরু হয় তার।

ব্যক্তিজীবনে সামাজিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে খুবই স্পষ্টভাষী ছিলেন এ গায়িকা। তিনি ১৯৯১ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে বছরের সেরা শিল্পী হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন এবং আন্তর্জাতিক নারী একক শিল্পীর জন্য ব্রিট পুরস্কার লাভ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

জনপ্রিয় আইরিশ সংগীতশিল্পী সিনিড ও’কনর আর নেই

নওরোজ বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ১১:২১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

মারা গেছেন জনপ্রিয় আইরিশ সংগীতশিল্পী এবং অ্যাক্টিভিস্ট সিনিড ও’কনর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

গায়িকার পরিবারের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনিড ও’কনরের পরিবার খুবই দুঃখের সঙ্গে গায়িকার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা বিধ্বস্ত বলে জানানো হয়েছে ঘোষণায়।

সিনিড ও’কনরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার। তিনি বলেন, সিনিড ও’কনরের গান বিশ্ববাসীর প্রিয় ছিল এবং তার প্রতিভা ছিল অতুলনীয়।

জানা যায়, ২০১৮ সালে এ গায়িকা ঘোষণা করেন-ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি। জানিয়েছিলেন, নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রেখেছেন শুহাদা। সেই সময় টুইটারে এক বার্তায় তাকে মুসলমান হতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন এ গায়িকা।

১৯৯০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নাথিং কমপেয়ার্স টু ইউ’ গানটির জন্য বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন সিনিড ও’কনর। ওই বছরের হিট গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল গানটি। ১৯৮৭ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘দ্য লায়ন অ্যান্ড দ্য কোবরা’ প্রকাশ হয়। যা যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ৪০-এ জায়গা করে নেয়। ১৯৮৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০টি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন তিনি। ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বরে কাউন্টি ডাবলিনের গেøনাগারিতে সাইনাড মেরি বার্নাডেট জন্মগ্রহণ করেন সিনিড ও’কনর। গার শৈশব খুবই কঠিন ছিল।

কিশোর বয়সে ডাবলিনের অ্যান গ্রিয়ানান ট্রেনিং সেন্টারে রাখা হয়েছিল তাকে। যা একসময় কুখ্যাত ম্যাগডালিন লন্ড্রিগুলোর একটি ছিল। যা মূলত অল্পবয়সী মেয়েদের বন্দি রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

সিনিড ও’কনরকে একজন সন্ন্যাসী গিটার কিনে দিয়েছিলেন এবং একজন সংগীত শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেন ওই সন্ন্যানী। সেখান থেকে সংগীত ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়া শুরু হয় তার।

ব্যক্তিজীবনে সামাজিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে খুবই স্পষ্টভাষী ছিলেন এ গায়িকা। তিনি ১৯৯১ সালে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে বছরের সেরা শিল্পী হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন এবং আন্তর্জাতিক নারী একক শিল্পীর জন্য ব্রিট পুরস্কার লাভ করেন।