জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই পারে দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে: ইউট্যাব সভাপতি

- Update Time : ০৯:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
- / ৯৫ Time View
“১৯৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে। তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে জনবান্ধব কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য কোনো দৃষ্টান্ত নেই”- বুধবার (২৪ জুলাই) এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে সাদা দলের উদ্যোগে আয়োজিত “জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দলে দলে বিভক্ত হয়ে ব্যক্তি স্বার্থে পরিচালিত কার্যক্রমের ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। এই ফ্যাসিবাদী অবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র ও জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধই দেশকে মুক্ত করেছে।”
দেশে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনও আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর জন্য প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই পারে দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে। ইস্পাতসম ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের একটি ন্যায়ভিত্তিক ও প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম।
শেকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “অহংকার ও দাম্ভিকতার কারণেই খুনি হাসিনা দলবলসহ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়কে একাডেমিকভাবে পুনর্গঠনের মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া। সেই লক্ষ্যে আমরা সফল হয়েছি। বর্তমানে ৩০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।”
ভর্তির নিয়মে পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিল করে যুক্তিসংগত ও ন্যায্য নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই। নিপীড়নের পক্ষে থাকা ১২ জন শিক্ষক ও ১০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্তসহ মোট ৮৮ জনকে বিভিন্ন শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এই তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে যতদিন না দোষীদের চূড়ান্ত শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।”
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, “ভিন্নমত থাকতেই পারে। তবে জুলাইয়ের ঘটনায় যেসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছিল, সেগুলোর নিরপেক্ষ বিচার হওয়া জরুরি। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়াই আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। কেউ কেউ নিজেদের পরিবারের ১৫ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন- এ ধরনের অপব্যবহারও বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সাদা দলের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. এফ. এম. আমিনুজ্জামান।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়