ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান,পারমাণবিক কর্মসূচি চলবে: পেজেশকিয়ান শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে সিলেটে অভিনব প্রতিবাদ মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের উসকানিদাতা রাফি যুবলীগ নেতা ভারতে পালানোর সময় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি গ্রেফতার সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, এটা কোনো কাজের না : হাসনাত আবদুল্লাহ সরকারের দুর্বলতাকে নয় সদিচ্ছাকে বড় করে দেখা উচিতঃ মির্জা ফখরুল ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপনকক্ষের ভেতরে ছবি তোলা যাবে না সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত সরকার বললে চলে যাব : শিক্ষা উপদেষ্টা
অভিযোগপত্র দায়ের

প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজি; ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সাজিদ মাহমুদ ইফতি, ঢাকা
  • Update Time : ০৪:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / ১২৬ Time View

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আবির।

প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। যাদের মধ্যে কেউ বর্তমান শিক্ষার্থী, আবার কেউ পরিচিত অ্যালামনাই। অভিযোগের কেন্দ্রে আছেন আইন বিভাগের ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আবির।

ভুক্তভোগী ৬৫তম ব্যাচের এলএলবি শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসেন জানান, একটি তুচ্ছ ঝগড়ার মীমাংসার নাম করে আবির আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা দাবি করে। আমি মানসিক চাপে পড়ে কিছু অর্থ দিতে বাধ্য হই। ঘটনার একটি অংশ আমি ভিডিও রেকর্ড করে সংরক্ষণ করেছি।

আর এ ঘটনার পরপরই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের পর ‘উঠিয়ে নেওয়া’ এবং ‘হাত ভেঙে ফেলার’ হুমকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী নিরাপত্তা বিবেচনায় থানায় এবং সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, সর্বোচ্চ ৩ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে সাকিব হোসেনের অভিযোগ একক নয়। আরও একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন। ৬৬তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আরেকজন জানান, তিনি ৪০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। আবার অনেকে এখনো নিরাপত্তার ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে সাহস পাচ্ছেন না।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে:

১. আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে যথাযথ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।

২. প্রমাণ ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

৩. ভবিষ্যতে কেউ যেন ক্যাম্পাসে ভয় বা অন্যায়ের শিকার না হন, সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে চাঁদাবাজির এই সংস্কৃতি আরও ভয়ংকর রূপ নিতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

অভিযোগপত্র দায়ের

প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজি; ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সাজিদ মাহমুদ ইফতি, ঢাকা
Update Time : ০৪:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। যাদের মধ্যে কেউ বর্তমান শিক্ষার্থী, আবার কেউ পরিচিত অ্যালামনাই। অভিযোগের কেন্দ্রে আছেন আইন বিভাগের ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আবির।

ভুক্তভোগী ৬৫তম ব্যাচের এলএলবি শিক্ষার্থী মো. সাকিব হোসেন জানান, একটি তুচ্ছ ঝগড়ার মীমাংসার নাম করে আবির আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা দাবি করে। আমি মানসিক চাপে পড়ে কিছু অর্থ দিতে বাধ্য হই। ঘটনার একটি অংশ আমি ভিডিও রেকর্ড করে সংরক্ষণ করেছি।

আর এ ঘটনার পরপরই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের পর ‘উঠিয়ে নেওয়া’ এবং ‘হাত ভেঙে ফেলার’ হুমকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী নিরাপত্তা বিবেচনায় থানায় এবং সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, সর্বোচ্চ ৩ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে সাকিব হোসেনের অভিযোগ একক নয়। আরও একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন। ৬৬তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আরেকজন জানান, তিনি ৪০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। আবার অনেকে এখনো নিরাপত্তার ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে সাহস পাচ্ছেন না।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে:

১. আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে যথাযথ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।

২. প্রমাণ ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

৩. ভবিষ্যতে কেউ যেন ক্যাম্পাসে ভয় বা অন্যায়ের শিকার না হন, সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে চাঁদাবাজির এই সংস্কৃতি আরও ভয়ংকর রূপ নিতে পারে।