ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

ছাত্রদলের পদবঞ্চিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ: গ্রেপ্তার ২  

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
  • / ৭৬ Time View

বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রদলের দুই সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারজুক আলামিন (৩৫) ও মো. জহির হাসান মোহন (৩৬)। তারা ছাত্রদলের নতুন কমিটির পদবঞ্চিত বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, গত ২৫ জুন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পথচারীসহ কয়েকজন আহত হন। পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পদবঞ্চিতরা ক্ষুব্ধ হয়েই বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে ককটেল হামলা করে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সেদিন ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। আর নিচে কয়েকজন নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে দুদফায় ৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান তারা। ককটেল বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন সাধারণ পথচারী আহত হন। ২০০ এর বেশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং প্রকাশ্য ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্ত করে এবং গত ৩ জুলাই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

 পুলিশ জানায়, ঘটনার আগেরদিন বিকেলে পদবঞ্চিত নেতা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রমনা পার্কের গেটসংলগ্ন এলাকায় পদবঞ্চিত অন্তত ২০ জনকে নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম রঞ্জু, রনি, আজহার হোসেন, ইমরান নওশাদ, সম্রাট, আল আমিন। সেখানে পার্টি অফিসের সামনে নাশকতার ছক করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা নতুন কমিটিকে মানসিকভাবে চাপে ফেলতে এবং নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ৮ জন সাবেক নেতা নিয়োজিত ছিল। ঘটনার আগেরদিন বিকেলে পদবঞ্চিত নেতা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রমনা পার্কের গেটসংলগ্ন এলাকায় পদবঞ্চিত অন্তত ২০ জনকে নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম রঞ্জু, রনি, আজহার হোসেন, ইমরান নওশাদ, সম্রাট, আল আমিন। সেখানে পার্টি অফিসের সামনে নাশকতার ছক করা হয়। ভাগ করে দেয়া হয় প্রত্যেকের দায়িত্ব। সে অনুযায়ী ককটেল সংগ্রহ এবং হামলার দায়িত্ব নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন এবং সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নাদির শাহ পাটোয়ারী। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হয় দুটি মোটরসাইকেল। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, বিষয়টিকে অনেকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল।  তবে নতুন কমিটিকে না মানার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

ছাত্রদলের পদবঞ্চিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ: গ্রেপ্তার ২  

নিজস্ব প্রতিনিধি
Update Time : ১০:১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রদলের দুই সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারজুক আলামিন (৩৫) ও মো. জহির হাসান মোহন (৩৬)। তারা ছাত্রদলের নতুন কমিটির পদবঞ্চিত বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, গত ২৫ জুন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পথচারীসহ কয়েকজন আহত হন। পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পদবঞ্চিতরা ক্ষুব্ধ হয়েই বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে ককটেল হামলা করে। এ ঘটনায় পল্টন থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সেদিন ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। আর নিচে কয়েকজন নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে দুদফায় ৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান তারা। ককটেল বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন সাধারণ পথচারী আহত হন। ২০০ এর বেশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং প্রকাশ্য ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্ত করে এবং গত ৩ জুলাই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

 পুলিশ জানায়, ঘটনার আগেরদিন বিকেলে পদবঞ্চিত নেতা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রমনা পার্কের গেটসংলগ্ন এলাকায় পদবঞ্চিত অন্তত ২০ জনকে নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম রঞ্জু, রনি, আজহার হোসেন, ইমরান নওশাদ, সম্রাট, আল আমিন। সেখানে পার্টি অফিসের সামনে নাশকতার ছক করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা নতুন কমিটিকে মানসিকভাবে চাপে ফেলতে এবং নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ৮ জন সাবেক নেতা নিয়োজিত ছিল। ঘটনার আগেরদিন বিকেলে পদবঞ্চিত নেতা সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রমনা পার্কের গেটসংলগ্ন এলাকায় পদবঞ্চিত অন্তত ২০ জনকে নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম রঞ্জু, রনি, আজহার হোসেন, ইমরান নওশাদ, সম্রাট, আল আমিন। সেখানে পার্টি অফিসের সামনে নাশকতার ছক করা হয়। ভাগ করে দেয়া হয় প্রত্যেকের দায়িত্ব। সে অনুযায়ী ককটেল সংগ্রহ এবং হামলার দায়িত্ব নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন এবং সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নাদির শাহ পাটোয়ারী। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হয় দুটি মোটরসাইকেল। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, বিষয়টিকে অনেকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল।  তবে নতুন কমিটিকে না মানার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।