চুনারুঘাটে বালু খেকোর ক্রাসে তিন ফসলি জমি পুকুরে রুপান্তর
- Update Time : ০৪:১৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ১৭৯ Time View
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দাঁরাগাও উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিমে বালু খেকোদের ক্রাসে তিন ফসলা জমি এখন পুকুরে রুপান্তর হয়েছে। অবৈধভাবে বালুমাটি উত্তোলনে হুমকির মুখে সড়ক ও জনপদ।হুমকি থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দাদের জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও ফের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা।
পরিদর্শনে দেখা যায় তিন ফসলা ধানি জমি হয়েছে পুকুরে রুপান্তর। দেওছড়া নদীর দুই পাড়ের দৃশ্য দেখলে মনে হয় স্থান গুলি যেন মাটি বিক্রির পাইকারি হাট।বোরো মৌসুম আসলেই দেওছড়া নদীসহ আশেপাশের তিন ফসলা জমিতে মাটি কাটার পরে বালু উত্তোলনে প্রতিযোগিতায় নামে স্থানীয় প্রভাবশালী বালু খেকো দল।দেওছড়া নদীর দুই পাশের ধানি জমি কুঁড়ার ভারী যন্ত্রপাতি ও গাড়ির বিকট শব্দে চলাচল করছে শত শত ট্রাক্টর। রাত দিন মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নদীর দু’ই পাড়ের বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারার বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। ধুলা বালুর কারণে দুর্ভোগের শিকার আশপাশে বসবাস করা শত শত পরিবার। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।
ভারতসহ দারাগাও, রশিদপুর, টিলাগাও, শ্রীবাড়ী পাহাড় থেকে বেঁয়ে আসা দেওছড়া নদীকে এক সময় বলা হত আশির্বাদ। প্রতি বছরই পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত করতো আবার তার থেকে রক্ষা করতো এই ছড়া। পরে ছড়া নদীর দুই পাড়ের জনপদ ফসল উৎপাদনে সহযোগিতাও করতো সেচ বাস্তবায়নে।
স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেওচড়া নদীর দুই পাড়ের অন্তত ১৫/২০ টি স্থান থেকে বালু মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। মাটি পরিবহনের জন্য নদীর পাড়ে ট্রাক্ট, ট্রাক্টর এমনকি এক্সলেকেভেটর মেশিন প্রবেশ করাতে স্থানীয় সড়ক প্রতিরক্ষা বাঁধ কেটে রাস্তা তৈরী করছে । এতে প্রতিরক্ষা সড়ক ও বাঁধ হুমখীতে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আশপাশের গ্রামের বাড়িঘর ধ্বংস ও উচ্ছেদ হতে পারে বলে আশষ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দাগণ প্রতিবাদ সভার কথাও জানান, স্থানীয় বাসিন্দা মামুন খান ইমু। তথ্য নিয়ে জানা যায়, দেওছড়া নদীর দু-পড়ে এক সময় গম, আখ, আলু, ডালসহ বিভিন্ন ফসল ফলাত এলাকার কৃষক। কিন্তু এখন এমন দৃশ্য আর নেই।
স্থানীয় মেম্বার শামীম খান সহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মশ্বব আলী কাউছারসহ একাধিক প্রভাবশালীরা এ নেপত্যে রয়েছে।তাদের সরাসরি অবস্থানে দাঁরা গাও উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম এলাকাসহ কাজিরখিল, কনকারী গাঁও,ঠিলাগাও, এলাকা, শ্যালু মেশিন, ট্রাক, ট্রাক্টরের শব্দে প্রকম্পিত হয়।দেওছড়া নদীর মাটি বিক্রি হচ্ছে সড়ক বা বাড়িঘর নির্মাণের কাজে, ইটভাটায় ইট তৈরির কাজে । ছড়ার পাড় সহ আশেপাশের তিন ফসলা জমি থেকে র্দীঘ দিন ধরে মাটি কাটার ফলে মূল দেওছড়া নদীর সাথে পাড় মিশে গেছে। প্রতিরক্ষা সড়ক বাঁধ কাটা ও গ্রাম্যপথের ওপর দিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর অবাধে চলাচল করার কারনে সড়ক র্দুবল হয়ে পড়েছে। বছরের পর বছর ধরে এভাবে নিয়মহীন ভাবে মাটি কাটা চলছে। এভাবে মাটি কাটা হচ্ছে অথচ প্রশাসন নির্বিকার। মাটি কাটা প্রতিরোধে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিন মিয়া সাথে কথা তিনি জানান,আমি অবগত হয়েছি। শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনা হবে অবৈধ ব্যবসায়িদের।








































































































































































































