ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

চা কারখানার পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে মামলার শিকার উদ্যোক্তা, প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

সাব্বির হোসেন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৯০৮ Time View

উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে, মামলা দিয়ে হয়রানির শিকার তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)দুপুরে চা কারখানায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরিফ হোসেন বলেন,উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের চা কারখানাটি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দে বন্ধ ছিল।এক পক্ষে ছিল সাবেক শিক্ষা অফিসার বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী আইরিন পারভীন তার সন্তান ও ভায়রা ভাই।অপর পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, তারিকুল ইসলাম।৫ই আগস্ট জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী হাসিনা পালানোর পর, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসার শুরুতেই তরুণ উদ্যোক্তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি উদ্যোক্তা হওয়ার মোটিভেশনাল বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়েই, উত্তরা গ্রীণ টি কারখানাটির এমডি এবং সংখ্যাগরিষ্ট পরিচালকদের মতামতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদালতের কাছে অনুমতি নিয়ে চুক্তিপত্র করে  আমরা পাচঁ জন তরুণ উদ্যোক্তা চা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করি।

তিনি বলেন,কারখানায় শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।ভাড়া নেওয়ার কয়েকমাস পরে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে, চা কারখানার চেয়ারম্যান আইরিন পারভীন,পরিচালক শাহআলম মিঠু,সাবেক শিক্ষা অফিসার বোরহান উদ্দিনের সাথে আমার ছোট ভাই রাকিব হোসেনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।

পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে চা কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেলে, প্রায় শতাধিক পরিবার কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়বে।তাই কারখানাটি  সচল রাখাটাও আমাদের দায়িত্ব।কারখানাতে চা বিক্রির মাধ্যমে জড়িয়ে আছে সরকারের রাজস্ব আয়।এছাড়াও চা চাষীরা সরাসরি কারখানায় কাঁচা পাতা বিক্রি করতে পারছে।

আমি মনে করি আমার ছোট ভাই রাকিবসহ আমরা এই কারখানার সাথে জড়িত আছি। আমাদেরকে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, মামলা থেকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় নতুন উদ্যোক্তা রাকিব হোসেন,চা কারখানার মকলেছার রহমান,মন্তাজ আলী, কারখানার শ্রমিক ও চা চাষীরা উপস্থিত ছিলে।

Please Share This Post in Your Social Media

চা কারখানার পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে মামলার শিকার উদ্যোক্তা, প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

সাব্বির হোসেন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে, মামলা দিয়ে হয়রানির শিকার তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)দুপুরে চা কারখানায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরিফ হোসেন বলেন,উত্তরা গ্রীণ টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের চা কারখানাটি দীর্ঘদিন যাবত পরিচালকদের মধ্যে দ্বন্দে বন্ধ ছিল।এক পক্ষে ছিল সাবেক শিক্ষা অফিসার বোরহান উদ্দিনের স্ত্রী আইরিন পারভীন তার সন্তান ও ভায়রা ভাই।অপর পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, তারিকুল ইসলাম।৫ই আগস্ট জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী হাসিনা পালানোর পর, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসার শুরুতেই তরুণ উদ্যোক্তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি উদ্যোক্তা হওয়ার মোটিভেশনাল বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়েই, উত্তরা গ্রীণ টি কারখানাটির এমডি এবং সংখ্যাগরিষ্ট পরিচালকদের মতামতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আদালতের কাছে অনুমতি নিয়ে চুক্তিপত্র করে  আমরা পাচঁ জন তরুণ উদ্যোক্তা চা কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করি।

তিনি বলেন,কারখানায় শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।ভাড়া নেওয়ার কয়েকমাস পরে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে, চা কারখানার চেয়ারম্যান আইরিন পারভীন,পরিচালক শাহআলম মিঠু,সাবেক শিক্ষা অফিসার বোরহান উদ্দিনের সাথে আমার ছোট ভাই রাকিব হোসেনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।

পরিচালক পক্ষের দ্বন্দে চা কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেলে, প্রায় শতাধিক পরিবার কর্মসংস্থানহীন হয়ে পড়বে।তাই কারখানাটি  সচল রাখাটাও আমাদের দায়িত্ব।কারখানাতে চা বিক্রির মাধ্যমে জড়িয়ে আছে সরকারের রাজস্ব আয়।এছাড়াও চা চাষীরা সরাসরি কারখানায় কাঁচা পাতা বিক্রি করতে পারছে।

আমি মনে করি আমার ছোট ভাই রাকিবসহ আমরা এই কারখানার সাথে জড়িত আছি। আমাদেরকে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, মামলা থেকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় নতুন উদ্যোক্তা রাকিব হোসেন,চা কারখানার মকলেছার রহমান,মন্তাজ আলী, কারখানার শ্রমিক ও চা চাষীরা উপস্থিত ছিলে।