চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপি’র সাবেক নেতাকে কোপালেন বর্তমান নেতা

- Update Time : ০৬:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪৯ Time View
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আঃ হান্নান মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান কামালকে কুঁপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় থানায় অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরও অভিযোগ জমা নেয়নি পুলিশ।
এমন অভিযোগ এনে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান কামাল।
অভিযুক্তরা হলেন, আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আঃ হান্নান মিয়া, যুবদলের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, সহ সভাপতি ছিদ্দিক মিয়া, বিএনপি নেতা মোবারক হোসেন, সোলেমান ও কামরুজ্জামান রুবেল।
মাহমুদুল হাসান কামাল বলেন, আমি আচমিতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি। পরিবারের কথা চিন্তা করে এখন রাজনীতি থেকে দূরে আছি। বসতবাড়ির দক্ষিন পার্শ্বে নিজ জমিতে পুকুর খননের মাধ্যমে মাছ চাষ করে দীর্ঘদিন যাবত ফিসারী ব্যবসা করে আসছি। এ কারণে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। এমতাবস্থায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করা সত্বেও গত ১৪ জানুয়ারি উপজেলার মশুয়া এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার সময় আমার কাছে পুনরায় ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বরাবরের মতো দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে অভিযুক্তরা এলোপাতারি মারপিট করে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করে। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী কটিয়াদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলেও অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত বিএনপি’র সভাপতি আঃ হান্নান বলেন, আমরা চাঁদাবাজ না। অভিযোগটি মিথ্যা। মাহমুদুল হাসান নিজ জমি থেকে মাটি কাটা অবস্থায় তাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। পরবর্তীতে আবারও মাটি কাটতে গেলে একই এলাকার কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য আবু সিদ্দিকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন মশুয়া এলাকায় চা খাওয়ার সময় আবু সিদ্দিকের সাথে আবারও ঝগড়া হয় এবং এই ঘটনা ঘটে।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসলে আবারও সংশোধনীর কথা বলে নিয়ে যায়। আজকে (শনিবার) রাত ৮টায় অভিযোগ নিয়ে আসতে বলবেন তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।