ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় সুলতানপুরে হত্যা চেষ্টা, লুন্ঠন : ইউপি মেম্বার গ্রেফতার

ষ্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ১০:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮ Time View

চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজ ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে অপরাধী সংঘবদ্ধ চক্রের সশস্ত্র হামলায় প্রতিবাদী যুবককে হত্যা চেষ্টায় গুরুতর আহত করা এবং মালামাল লুটের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা রুজু হয়েছে।

গ্রেফতার হয়েছে প্রধান আসামী ইউপি মেম্বার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধিকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় গত ৪ অক্টোবর উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের অধিবাসী আবদুর রহিম বাদী হয়ে রুজুকৃত এজাহারের বিবরণে প্রকাশ, সুলতানপুর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের অধিবাসী ইউপি মেম্বার লিটন মিয়া, আঃ রহিম, লোকমান, সফু মিয়া, ফায়েজ মিয়া, দ্বীন ইসলাম, শামীম মিয়া, জাকারিয়া, কামাল মিয়া, মাসুম মিয়া, বন্যা মিয়া এলাকার সন্ত্রাসী দাঙ্গাবাজ লাঠিয়াল উশৃংখল চাঁদাবাজ নেশাখোর ও জঘন্য প্রকৃতির লোক। এরা বিগত সরকারের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অন্যায় অত্যাচারসহ জোর জুলুম এবং চাঁদাবাজী করেছে। এদের ভয়ে নিরীহ জনগণ মুখ খুলে কথা বলার সাহস পায় না। এরা প্রায় প্রতিদিনই বাদীর ভাতিজা বাছির মিয়ার রাধিকা গ্রামের মুদিমনোহারী দোকানে যেয়ে চাঁদা দাবী করে। তখন দোকানে উপস্থিত বাদীর ছেলে মোবারক এর প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুলতানপুর ইউপি’র ওয়ার্ড মেম্বার লিটন মিয়ার বাড়িতে গোপন শলাপরামর্শ করে তারই নেতৃত্বে গত ১ অক্টোবর সকাল অনুমান ৮টায় উল্লেখিত অপরাধি-আসামীরাসহ ১০/১৫ জন রামদা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে পুণরায় বাছির মিয়ার দোকানে যেয়ে চাঁদা দাবী করে। তখন বাদীর ছেলে মোবারক আবারো প্রতিবাদ করলে অপরাধী চক্র গালিগালাজ শুরু করে।

এক পর্যায়ে ইউপি ওয়ার্ড মেম্বার লিটন মিয়াসহ সকলে মোবারকের উপর হামলে পড়ে রামদা কুড়াল দিয়ে মাথা পা কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিঠে সজোরে আঘাত করার পাশাপাশি শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা চেষ্টায় গুরুতর আহত করে। তখন বাছির মিয়ার আর্তচিৎকারে অন্যান্য দোকানী ও গ্রামবাসী এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা মোবারকের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, দোকানে চার্জে লাগানো মোবাইল ফোন, ক্যাশে থাকা বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও মুদিমনোহারী মালামাল লুট করে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে উপস্থিত সকলে গুরুতর আহত মোবারককে মুমুর্ষু অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক।

এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় ৪ অক্টোবর রুজুকৃত মামলা নং- ১৩ স‚ত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহযোগে অভিযান চালিয়ে একইদিন গত রাতে প্রধান আসামী ইউপি মেম্বার লিটন মিয়াকে এলাকা হতে গ্রেফতার করে। ৫ অক্টোবর তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় সুলতানপুরে হত্যা চেষ্টা, লুন্ঠন : ইউপি মেম্বার গ্রেফতার

ষ্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ১০:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজ ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে অপরাধী সংঘবদ্ধ চক্রের সশস্ত্র হামলায় প্রতিবাদী যুবককে হত্যা চেষ্টায় গুরুতর আহত করা এবং মালামাল লুটের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা রুজু হয়েছে।

গ্রেফতার হয়েছে প্রধান আসামী ইউপি মেম্বার। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধিকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় গত ৪ অক্টোবর উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের অধিবাসী আবদুর রহিম বাদী হয়ে রুজুকৃত এজাহারের বিবরণে প্রকাশ, সুলতানপুর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের অধিবাসী ইউপি মেম্বার লিটন মিয়া, আঃ রহিম, লোকমান, সফু মিয়া, ফায়েজ মিয়া, দ্বীন ইসলাম, শামীম মিয়া, জাকারিয়া, কামাল মিয়া, মাসুম মিয়া, বন্যা মিয়া এলাকার সন্ত্রাসী দাঙ্গাবাজ লাঠিয়াল উশৃংখল চাঁদাবাজ নেশাখোর ও জঘন্য প্রকৃতির লোক। এরা বিগত সরকারের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অন্যায় অত্যাচারসহ জোর জুলুম এবং চাঁদাবাজী করেছে। এদের ভয়ে নিরীহ জনগণ মুখ খুলে কথা বলার সাহস পায় না। এরা প্রায় প্রতিদিনই বাদীর ভাতিজা বাছির মিয়ার রাধিকা গ্রামের মুদিমনোহারী দোকানে যেয়ে চাঁদা দাবী করে। তখন দোকানে উপস্থিত বাদীর ছেলে মোবারক এর প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুলতানপুর ইউপি’র ওয়ার্ড মেম্বার লিটন মিয়ার বাড়িতে গোপন শলাপরামর্শ করে তারই নেতৃত্বে গত ১ অক্টোবর সকাল অনুমান ৮টায় উল্লেখিত অপরাধি-আসামীরাসহ ১০/১৫ জন রামদা ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে পুণরায় বাছির মিয়ার দোকানে যেয়ে চাঁদা দাবী করে। তখন বাদীর ছেলে মোবারক আবারো প্রতিবাদ করলে অপরাধী চক্র গালিগালাজ শুরু করে।

এক পর্যায়ে ইউপি ওয়ার্ড মেম্বার লিটন মিয়াসহ সকলে মোবারকের উপর হামলে পড়ে রামদা কুড়াল দিয়ে মাথা পা কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিঠে সজোরে আঘাত করার পাশাপাশি শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা চেষ্টায় গুরুতর আহত করে। তখন বাছির মিয়ার আর্তচিৎকারে অন্যান্য দোকানী ও গ্রামবাসী এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা মোবারকের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, দোকানে চার্জে লাগানো মোবাইল ফোন, ক্যাশে থাকা বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও মুদিমনোহারী মালামাল লুট করে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে উপস্থিত সকলে গুরুতর আহত মোবারককে মুমুর্ষু অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক।

এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় ৪ অক্টোবর রুজুকৃত মামলা নং- ১৩ স‚ত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহযোগে অভিযান চালিয়ে একইদিন গত রাতে প্রধান আসামী ইউপি মেম্বার লিটন মিয়াকে এলাকা হতে গ্রেফতার করে। ৫ অক্টোবর তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান।