ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলে গেলেন ব্রিটেনের প্রথম ১০ লাখ পাউন্ডের ফুটবলার

নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • / ১১২ Time View

ইংল্যান্ডের সাবেক ফরোয়ার্ড ট্রেভর ফ্রান্সিস আর নেই। একটা সময় ব্রিটেনে ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে দলবদল করা এই ফুটবলার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

স্পেনে ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কথা সোমবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তার পরিবার। বয়স হয়েছিল তার ৬৯ বছর।

ফ্রান্সিস খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন বার্মিংহ্যাম সিটিতে। সেখান থেকেই ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে ১৯৭৯ সালে যোগ দেন নটিংহ্যাম ফরেস্টে, হয়ে যান ব্রিটেনের প্রথম ১০ লাখ পাউন্ডের ফুটবলার।

ফরেস্টের হয়ে টানা দুই মৌসুমে তিনি জেতেন ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ)। ১৯৭৯ সালের ফাইনালে সুইডিশ ক্লাব মালমোর বিপক্ষে দলের একমাত্র গোলটি করেন তিনিই।

ফ্রান্সিস বার্মিংহ্যামে যোগ দেন স্কুলছাত্র হিসেবে। ক্লাবটির সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৬ বছর বয়সে, ১৯৭০ সালে।

রেকর্ডটি টিকে ছিল লম্বা সময়, ২০১৯ সালের অগাস্টে যা ভেঙে দেন কদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো জুড বেলিংহ্যাম।

ফরেস্টে যোগ দেওয়ার আগে বার্মিংহ্যামের হয়ে লিগে ২৮০ ম্যাচে ফ্রান্সিস গোল করেন ১১৯টি। পরে ম্যানচেস্টার সিটি, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স, সাম্পদোরিয়াসহ আরও কয়েকটি ক্লাবের জার্সিতে খেলেন তিনি।

৪০তম জন্মদিনের আগে ১৯৯৪ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন ফ্রান্সিস। তার আগেই অবশ্য যুক্ত হন কোচিংয়ে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন বার্হিংহ্যামের। তার হাত ধরে ২০০১ সালে লিগ কাপের ফাইনালে উঠে লিভারপুলের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় দলটি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫২ ম্যাচ খেলে ১২ গোল করেন তিনি। যার দুটি ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে।

Please Share This Post in Your Social Media

চলে গেলেন ব্রিটেনের প্রথম ১০ লাখ পাউন্ডের ফুটবলার

নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
Update Time : ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

ইংল্যান্ডের সাবেক ফরোয়ার্ড ট্রেভর ফ্রান্সিস আর নেই। একটা সময় ব্রিটেনে ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে দলবদল করা এই ফুটবলার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

স্পেনে ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কথা সোমবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে তার পরিবার। বয়স হয়েছিল তার ৬৯ বছর।

ফ্রান্সিস খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন বার্মিংহ্যাম সিটিতে। সেখান থেকেই ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে ১৯৭৯ সালে যোগ দেন নটিংহ্যাম ফরেস্টে, হয়ে যান ব্রিটেনের প্রথম ১০ লাখ পাউন্ডের ফুটবলার।

ফরেস্টের হয়ে টানা দুই মৌসুমে তিনি জেতেন ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ)। ১৯৭৯ সালের ফাইনালে সুইডিশ ক্লাব মালমোর বিপক্ষে দলের একমাত্র গোলটি করেন তিনিই।

ফ্রান্সিস বার্মিংহ্যামে যোগ দেন স্কুলছাত্র হিসেবে। ক্লাবটির সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে তার অভিষেক হয় ১৬ বছর বয়সে, ১৯৭০ সালে।

রেকর্ডটি টিকে ছিল লম্বা সময়, ২০১৯ সালের অগাস্টে যা ভেঙে দেন কদিন আগে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো জুড বেলিংহ্যাম।

ফরেস্টে যোগ দেওয়ার আগে বার্মিংহ্যামের হয়ে লিগে ২৮০ ম্যাচে ফ্রান্সিস গোল করেন ১১৯টি। পরে ম্যানচেস্টার সিটি, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স, সাম্পদোরিয়াসহ আরও কয়েকটি ক্লাবের জার্সিতে খেলেন তিনি।

৪০তম জন্মদিনের আগে ১৯৯৪ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন ফ্রান্সিস। তার আগেই অবশ্য যুক্ত হন কোচিংয়ে।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন বার্হিংহ্যামের। তার হাত ধরে ২০০১ সালে লিগ কাপের ফাইনালে উঠে লিভারপুলের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় দলটি। ইংল্যান্ডের হয়ে ৫২ ম্যাচ খেলে ১২ গোল করেন তিনি। যার দুটি ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে।