ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

চট্টগ্রামে প্লট জালিয়াতি মামলায় ৪ জনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৫:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৮৯ Time View

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ বানিয়ে চট্টগ্রাম হালিশহর হাউজিং সোসাইটির সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীসহ চার আসামিকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনশী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। একই রায়ে চারজনের প্রত্যেককে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন প্লট গ্রহীতা চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার দুবাই বিল্ডিং এলাকার মনির আহাম্মদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, সদরঘাট এলাকার সাখাওয়াত উল্লাহর ছেলে নাসিম ইকবাল হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চাকুরিচ্যুত নিম্নমান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার মাটিভাংগা গ্রামের মো. কাঞ্চন আলী হাওলাদার এবং গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এলএমএসএস কুমিল্লা জেলার বরুরা থানার ভিমরুল গ্রামের মো. আবুল কাশেম।

মামলায় অভিযোগপত্রের এক নম্বর আসামি খলিলুর রহমান মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

তিনি বলেন, ২০০২ সালের মামলা। তখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিলে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আদেশ জালিয়াতি করে হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগের ওই মামলায় আদালত অভিযোগপত্রের ৫ আসামির মধ্যে ৪ জনকে বিভিন্ন ধারায় ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে আসামি খলিলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, নাসিম ইকবাল হোসেন ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা করে তিনটি প্লটে ১০ দশমিক ৯৫ কাঠা সরকারি জায়গা ভুয়া লিজ বরাদ্দ দেখিয়ে রেজিস্ট্রিমূলে আত্মসাৎ করেন।

এ জমি আত্মসাতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন ক্যাশিয়ার ও একজন এলএমএসএস সহযোগিতা করেন। এ নিয়ে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে তিন প্লটগ্রহীতা ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীকে আসামি করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

প্রায় ১০ বছর তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রামে প্লট জালিয়াতি মামলায় ৪ জনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৫:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভুয়া বরাদ্দ আদেশ বানিয়ে চট্টগ্রাম হালিশহর হাউজিং সোসাইটির সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীসহ চার আসামিকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনশী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। একই রায়ে চারজনের প্রত্যেককে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন প্লট গ্রহীতা চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার দুবাই বিল্ডিং এলাকার মনির আহাম্মদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন, সদরঘাট এলাকার সাখাওয়াত উল্লাহর ছেলে নাসিম ইকবাল হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চাকুরিচ্যুত নিম্নমান সহকারী কাম ক্যাশিয়ার পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার মাটিভাংগা গ্রামের মো. কাঞ্চন আলী হাওলাদার এবং গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এলএমএসএস কুমিল্লা জেলার বরুরা থানার ভিমরুল গ্রামের মো. আবুল কাশেম।

মামলায় অভিযোগপত্রের এক নম্বর আসামি খলিলুর রহমান মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

তিনি বলেন, ২০০২ সালের মামলা। তখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিলে। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের আদেশ জালিয়াতি করে হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে সরকারি প্লট আত্মসাতের অভিযোগের ওই মামলায় আদালত অভিযোগপত্রের ৫ আসামির মধ্যে ৪ জনকে বিভিন্ন ধারায় ১৫ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামিই আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর হাউজিং সোসাইটিতে আসামি খলিলুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, নাসিম ইকবাল হোসেন ৩ দশমিক ৬৫ কাঠা করে তিনটি প্লটে ১০ দশমিক ৯৫ কাঠা সরকারি জায়গা ভুয়া লিজ বরাদ্দ দেখিয়ে রেজিস্ট্রিমূলে আত্মসাৎ করেন।

এ জমি আত্মসাতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন ক্যাশিয়ার ও একজন এলএমএসএস সহযোগিতা করেন। এ নিয়ে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে তিন প্লটগ্রহীতা ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীকে আসামি করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

প্রায় ১০ বছর তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।