চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

- Update Time : ০৩:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / ৫০ Time View
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি মো. হাসানকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ মে) রাতে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে আজ (শনিবার) ভোরে নগরের বায়জীদ বোস্তামী থানার পশ্চিম শহীদ নগর সুবহান কন্ট্রাক্টর বাড়ির হাসানের বসতঘর থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. হাসান নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার পশ্চিম শহীদ নগর সুবাহান কন্ট্রাক্টর বাড়ির মো.আলমের ছেলে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন,তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় নোয়াখালী হাতিয়া থেকে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. আব্দুল্লাহ ও মো. মানিক নামে দুজন নিহত হয়। চট্টগ্রামের দুই সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও সারোয়ার হোসেন বাবলার বিরোধের জের ধরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়- সারোয়ার হোসেন বাবলার গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন নিহত মানিক। আর সারোয়ারের ব্যক্তিগত কাজকর্ম করতেন নিহত আবদুল্লাহ। গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে প্রাইভেটকারে করে নতুন ব্রিজ এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন মানিক, সারোয়ার, আবদুল্লাহ, রবিন, হৃদয় ও ইমন। নতুন ব্রিজ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বহদ্দারহাটের দিকে রওয়ানা হলে রাত ২টার দিকে রাজাখালী ব্রিজের ওপর পৌঁছামাত্র ৬-৭টি মোটরসাইকেল থেকে প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে গাড়ির পেছনের গ্লাস ছিদ্র হয়ে যায়। তখন মানিক বহদ্দারহাটের দিকে না গিয়ে বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে চকবাজারের দিকে যায়।
সোয়া ২টার দিকে চকবাজার থানার নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কে মানিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গাড়ি থামায়। গাড়ির পেছনে থাকা হাছান, ইমন, বোরহান, খোরশেদ ও রায়হানসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলিতে মানিক ও আবদুল্লাহ জখম হয়। গাড়িতে থাকা সারোয়ার এবং ইমন কৌশলে নেমে যায়৷ এরপর গুলি ছুঁড়তে থাকা আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মানিক ও আবদুল্লাহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি সাজ্জাদ এবং তার স্ত্রী তামান্নার পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামিরা সারোয়ার হোসেন বাবলা ও তার ছেলেসহ অন্যদের হত্যা করার জন্য নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে প্রাইভেটকারটির পিছু নেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়