ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম
  • Update Time : ০৯:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • / ১৫ Time View

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছেন। ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মেয়র থাকাকালীন সময়ে অসাধু উপায়ে পৌরসভার তহবিল থেকে এ টাকা তিনি হাতিয়ে নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার অভিযুক্ত সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব মিয়া বাড়ির রুহুল্লা পাড়ার মৃত জহিরুল হক চৌধুরীর পুত্র।

দুদক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর বাঁশখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন কাজের নামে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২।

দুদক কমিশন বরাবরে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিল করা হয় । ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই বাঁশখালী পৌরসভার সামনে নিয়ম মেনে চারটি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেখানে পৌরসভার অর্থায়নে নির্মিত আরও চারটি দোকান বরাদ্দ প্রদান করা হয়। স্বজন প্রীতি ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে কোনো ধরনের নিয়ম না মেনেই ওই দোকানগুলো বরাদ্দ দেন সেলিমুল হক চৌধুরী। ওই চারটি দোকান থেকে অগ্রিম বাবদ ৯ লাখ টাকা গ্রহন করা হলেও টাকাগুলো পৌরসভার তহবিলে জমা প্রদান করা হয় নি।

দুদক সূত্র আরও জানান, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের বাঁশখালী শাখা ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গ্যাস প্রকল্পের টাকা ও অন্যান্য টাকা সহ মোট ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৩৬ টাকা জমা হয়। ব্যাংকের ওই হিসাব থেকে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলন ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৮ দশমিক ৬৫ টাকা। ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই পৌরসভার হিসাব রক্ষকের নিকটে লিখিত দিয়ে তার কাছ থেকে ব্যাংকের চেক বই জিম্মায় গ্রহণ করেন সেলিমুল হক চৌধুরী। যে দিন চেক বই জিম্মায় নিয়েছিলেন ওই দিনই অনুমোদন ছাড়াই পৌরসভার ব্যাংক হিসাব থেকে ৭ লাখ টাকা উঠিয়ে নেন সাবেক মেয়র। পরে ওই ৭ লাখ টাকা পৌরসভার হিসাবে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দন্ডবিধি ৪২০, ৪০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় সাবেক এই পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে।

Please Share This Post in Your Social Media

১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Update Time : ০৯:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছেন। ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মেয়র থাকাকালীন সময়ে অসাধু উপায়ে পৌরসভার তহবিল থেকে এ টাকা তিনি হাতিয়ে নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার অভিযুক্ত সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব মিয়া বাড়ির রুহুল্লা পাড়ার মৃত জহিরুল হক চৌধুরীর পুত্র।

দুদক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর বাঁশখালীর পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন কাজের নামে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২।

দুদক কমিশন বরাবরে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিল করা হয় । ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই বাঁশখালী পৌরসভার সামনে নিয়ম মেনে চারটি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেখানে পৌরসভার অর্থায়নে নির্মিত আরও চারটি দোকান বরাদ্দ প্রদান করা হয়। স্বজন প্রীতি ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে কোনো ধরনের নিয়ম না মেনেই ওই দোকানগুলো বরাদ্দ দেন সেলিমুল হক চৌধুরী। ওই চারটি দোকান থেকে অগ্রিম বাবদ ৯ লাখ টাকা গ্রহন করা হলেও টাকাগুলো পৌরসভার তহবিলে জমা প্রদান করা হয় নি।

দুদক সূত্র আরও জানান, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের বাঁশখালী শাখা ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গ্যাস প্রকল্পের টাকা ও অন্যান্য টাকা সহ মোট ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৩৬ টাকা জমা হয়। ব্যাংকের ওই হিসাব থেকে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উত্তোলন ৩৪ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৮ দশমিক ৬৫ টাকা। ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই পৌরসভার হিসাব রক্ষকের নিকটে লিখিত দিয়ে তার কাছ থেকে ব্যাংকের চেক বই জিম্মায় গ্রহণ করেন সেলিমুল হক চৌধুরী। যে দিন চেক বই জিম্মায় নিয়েছিলেন ওই দিনই অনুমোদন ছাড়াই পৌরসভার ব্যাংক হিসাব থেকে ৭ লাখ টাকা উঠিয়ে নেন সাবেক মেয়র। পরে ওই ৭ লাখ টাকা পৌরসভার হিসাবে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে সেলিমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দন্ডবিধি ৪২০, ৪০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয় সাবেক এই পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে।