ঢাকা ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লোহাগাড়ায় অস্ত্র ও লুন্ঠিত মালামালসহ ডাকাত দম্পতি আটক শাহজাহান চৌধুরীর সাথে স্বাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর জুলি ভারবার্গ রংপুরে ৫টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা টাঙ্গাইল শহরের প্রবেশ দ্বারে ময়লার ভাগার, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহিলারা সবচাইতে ভালো থাকবে পুলিশের চেকপোস্টে পিস্তল-গুলি ফেলে পালাল সন্ত্রাসী রিফিউজি জীবন চাই না, নিজভূমিতে ফিরতে চাই উখিয়ায় ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান: আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার নিজ দলের লোকই বিএনপির কাছে নিরাপদ নয় – ফজলুল করিম বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হকের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ঘুমধুম খাল থেকে উদ্ধার মরদেহটি বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা যুবক ওসমানের !

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • / ৬২ Time View

গত জুন নাফ নদের উত্তর মোহনা বান্দরবানের ঘুমধুম খাল থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে।

উদ্ধার করা মরদেহটি উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ ইস্ট’র আশ্রিত রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ওসমানের(২৩)।২১ জুন সকালে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মোহাম্মদ ওসমান ক্যাম্প-৮ ইস্ট’র ব্লক- বি-৬৪ এর আশ্রিত রোহিঙ্গা কবির হোসেন ও আনোয়ার বেগম দম্পতির ছেলে।

ওসমানের স্ত্রী নুর ফাতেমা(২০) জানান,গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কে বা কারা বস্তিঘর থেকে ওসমান’কে ডেকে নিয়ে যান আর ফিরে আসেন নি।সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিতে থাকি।

গত ১৯ জুন(বৃহস্পতিবার)সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লাশের ছবি দেখে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হই ঘুমধুম খাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহটি তার স্বামী ওসমানের।কিন্তু কে বা কারা ডেকে নিয়েছিল? কি কারণে লাশ হলো? কারা জড়িত? তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন নুর ফাতেমা।সে জানান,ওসমান ও আমার ঔরসে নুর হালিমা নামের ১৪ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ সংক্রান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।মোহাম্মদ ওসমানের ছোট ভাই হাফেজ মোহাম্মদ হোসেন বলেন,কারা মেরে? কেন মেরে ফেলেছে? আমরা জানি না।আমরা নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় যাচ্ছি।তবে রোহিঙ্গাদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,মাদকের লেনদেন কিংবা নারী সংক্রান্ত কোন কারণে হত্যার শিকার হতে পারেন,এমনটাই ধারণা করছেন তারা।

প্রসঙ্গত: গত ১৯ জুন দিনের বেলা পৌণে ১২টারদিকে নয়াপাড়া সংলগ্ন ঘুমধুম খাল থেকে অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

(ওসি)মাসরুরুল হক বলেন, ১৯ জুন বেলা বারোটার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম খালে একটি মৃতদেহ ভেসে আসার খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছিল।তিনি বলেন, ‘নিহতের ডান হাতে একটি রশি বাধা ছিল। মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের চামড়া খসে গেছে। এতে চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাৎক্ষণিক পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।পরে পরিচয় পাওয়া গেছে, উদ্ধার করা মরদেহটি একজন রোহিঙ্গা যুবকের।

ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।এ সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ঘুমধুম খাল থেকে উদ্ধার মরদেহটি বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা যুবক ওসমানের !

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

গত জুন নাফ নদের উত্তর মোহনা বান্দরবানের ঘুমধুম খাল থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে।

উদ্ধার করা মরদেহটি উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮ ইস্ট’র আশ্রিত রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ওসমানের(২৩)।২১ জুন সকালে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মোহাম্মদ ওসমান ক্যাম্প-৮ ইস্ট’র ব্লক- বি-৬৪ এর আশ্রিত রোহিঙ্গা কবির হোসেন ও আনোয়ার বেগম দম্পতির ছেলে।

ওসমানের স্ত্রী নুর ফাতেমা(২০) জানান,গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কে বা কারা বস্তিঘর থেকে ওসমান’কে ডেকে নিয়ে যান আর ফিরে আসেন নি।সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিতে থাকি।

গত ১৯ জুন(বৃহস্পতিবার)সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লাশের ছবি দেখে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হই ঘুমধুম খাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহটি তার স্বামী ওসমানের।কিন্তু কে বা কারা ডেকে নিয়েছিল? কি কারণে লাশ হলো? কারা জড়িত? তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন নুর ফাতেমা।সে জানান,ওসমান ও আমার ঔরসে নুর হালিমা নামের ১৪ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ সংক্রান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।মোহাম্মদ ওসমানের ছোট ভাই হাফেজ মোহাম্মদ হোসেন বলেন,কারা মেরে? কেন মেরে ফেলেছে? আমরা জানি না।আমরা নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় যাচ্ছি।তবে রোহিঙ্গাদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,মাদকের লেনদেন কিংবা নারী সংক্রান্ত কোন কারণে হত্যার শিকার হতে পারেন,এমনটাই ধারণা করছেন তারা।

প্রসঙ্গত: গত ১৯ জুন দিনের বেলা পৌণে ১২টারদিকে নয়াপাড়া সংলগ্ন ঘুমধুম খাল থেকে অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

(ওসি)মাসরুরুল হক বলেন, ১৯ জুন বেলা বারোটার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম খালে একটি মৃতদেহ ভেসে আসার খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছিল।তিনি বলেন, ‘নিহতের ডান হাতে একটি রশি বাধা ছিল। মৃতদেহের বিভিন্ন অংশের চামড়া খসে গেছে। এতে চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাৎক্ষণিক পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।পরে পরিচয় পাওয়া গেছে, উদ্ধার করা মরদেহটি একজন রোহিঙ্গা যুবকের।

ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।এ সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।