ঘরে বসেই দেখা যাবে মসজিদে নববি

- Update Time : ০৬:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১০৭ Time View
সৌদি আরবের মদিনা মুনাওয়ারাকে বলা হয় ‘মদিনাতুন নবী’ বা নবীর শহর। এ নগরীর পরতে পরতে নবীজির স্মৃতি। হজের আগে-পরে মুসল্লিরা মসজিদে কুবা, উহুদ পাহাড়, খন্দক যুদ্ধে পরিখা খননের ইতিহাস, রহমতের স্তম্ভ, রিয়াজুল জান্নাত ইত্যাদি জায়গায় বাস্তবে সশরীরে ডুব দেন।
এখানে সবুজ গম্বুজের নিচে শায়িত দো-জাহানের মহান নেতা মুহাম্মদ (স.)। তাঁর পবিত্রতা ধারণ করে চিরধন্য মদিনা শহর। এখানকার মানুষগুলোই প্রায় দেড় হাজার বছর আগে নবীজিকে বরণ করতে ছুটে গিয়েছিলেন শহরের শেষ প্রান্তে। শিশুরা গেয়ে ওঠেছিল- তালায়াল বাদরু আলাইনা অর্থাৎ সূর্য উদিত হয়েছে আমাদের ওপর।
বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রবেশের পর মসজিদে নববিতে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর পবিত্র রওজা মোবারকের সামনের ও পাশের অংশ দেখতে পাবেন ভার্চুয়াল ভ্রমণকারীরা। মসজিদে নববির বেশ কয়েকটি প্রবেশপথ বা গেট রয়েছে। যেকোনো গেট এর নাম নির্বাচন করে দিলে সেই পথে মসজিদে নববিতে প্রবেশ করা যাবে। পর্দার ওপরে মাঝখানে গেটগুলোর নাম দেওয়া আছে। ওখান থেকে গেট নির্বাচন করতে হবে। ভার্চুয়াল প্রযুক্তিতে আল সালাম গেট, জিবরাইল গেট, আবু বকর আল সিদ্দিক গেট, আল রহমাহ গেট, উমর ইবনে আল খাত্তাব গেট দিয়ে মসজিদে নববিতে প্রবেশ করা যাবে।
এছাড়াও দেখা যাবে পাঠাগার, গ্যালারি ও প্রদর্শনী কক্ষ। নবীজির তৈরি মসজিদের ওপরের অংশও দেখা যাবে। সবুজ মিনারের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি মসজিদে নববির মিনারও দেখা যাবে এই ভার্চুয়াল ভ্রমণে।
২০০১ সালে কিং ফাহাদ গ্লোরিয়াস কোরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স কর্র্তৃপক্ষ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। প্রকল্পের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন সৌদি আরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আল শায়েখ, নির্বাহী তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন শায়খ তালাল বিন রাজিন আল রেহাইলি এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও ফটোগ্রাফার ছিলেন যথাক্রমে আলি ইবনে আবদুল্লাহ বর্নাভি ও হানি ইবনে জাকি আল ফুল।
২০১০ সালে পবিত্র মসজিদের নববির ভেতর-বাহিরের অর্ধশত উচ্চমানের ছবি যুক্ত করে এই চমৎকার সাইটটি তৈরি করা হয়। ৩৬০ ডিগ্রিতে ছবিগুলো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।
নওরোজ/এসএইচ