ঘরে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ, নারী গ্রেফতার

- Update Time : ১২:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১২ Time View
নেত্রকোনার বারহাট্টায় কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের মামলায় এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার বিকালে তাকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পারিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ মাস আগে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে কিবরিয়া (২৮) ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে সহায়তা করেন এক নারী (৪৫)। ঘটনার দিন পারুল কিশোরীটিকে ডেকে নিয়ে তার নিজবাড়ির একটি ঘরে আটকে রেখে দরজা বন্ধ করে বাহির থেকে সিটকিনি লাগিয়ে দেয়। এই ঘরটিতে কিবরিয়া আগে থেকে ওতপেতে ছিল। সুযোগ পেয়ে তিনি কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কান্নাকাটি থামাতে কিবরিয়া কিশোরীকে হুমকি-ধমকি দেয় এবং বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করে। লোকলজ্জার ভয়ে ওই কিশোরী ঘটনাটি চেপে রাখে। পরে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার শারীরিক লক্ষণ স্পষ্ট হয়।
ভুক্তভোগী জানান, আমি আমার ঘরে ভাত খাইতাসিলাম। এ সময় ওই নারী আইয়া আমার হাত ধইরা জোর কইরা তার বাড়িত টাইন্যা নেয়। তার ঘরের ভিতরে ঢোকাইয়া বাইরে দিয়া দরজা আটকাইয়া দেয়। পরে কিবরিয়া আমারে ধর্ষণ করে। অনেক চেষ্টা কইরাও তার হাত থাইক্যা বাঁচতাম পারছি না।
কিশোরীর মা বলেন, আমরা গরিব, অসহায় মানুষ। আমার স্বামী ভাড়ায় অন্যের অটোরিকশা চালায়। তিনি বাড়ির বাইরে থাকেন। এ সুযোগে কিবরিয়া আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। কিছু লোক ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমি এর বিচার চাই।
জানতে চাইলে কিশোরীর বাবা বলেন, আমরা গরিব। তারা প্রভাবশালী। তাদের সঙ্গে আমি পারব না। সরকারের সাহায্য চাই।
মামলার পর কিবরিয়া আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বারহাট্টা থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য পেয়ে আমি নিজেই ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাই। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা করার কথা বলি। পরে কিবরিয়া ও পারুলকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। মূল আসামি কিবরিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়