ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁও

ঘনকুয়াশায় কার্তিকেই শীতের হাতছানি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪৮ Time View

টানা তিন দিন বৃষ্টির পর ঠাকুরগাঁওয়ে ঘনকুয়াশা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলার রহিমানপুর, রায়পুর, জামালপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আকাশে ঘনকুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো। রাতে শুরু হওয়া ঘনকুয়াশা যা স্থায়ী ছিল সকাল ৮টা পর্যন্ত।

গত কয়েক দিনে জমে থাকা বৃষ্টির পানি বাষ্পায়িত হয়ে কুয়াশা আকারে শোষণ হচ্ছে। এ কারণে ঘনকুয়াশা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সকাল ৮ টার পরে সূর্যের হাসিতে কেটে যায় কুয়াশা। আগের চেয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা আবহওয়ার কারণে স্থানীয়রা মনে করছেন, শীত এই এলো বুঝি।

গরমের পর বৃষ্টি আর বৃষ্টির পরেই ঘনকুয়াশার সাথে ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরলেও চিন্তিত এ জেলার মানুষ। কারণ উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের প্রথমে শুরু হয় শীত, থাকে শেষ পর্যন্ত। অতিরিক্ত শীতের কারণে জনদুর্ভোগে পড়তে হয় বিশেষ করে জেলার খেটে খাওয়া মানুষদের।

সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক কফিল উদ্দিন বলেন, ‌‘শীত শুরু তো ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের চিন্তা শুরু। কারণ শীতকালে এ জেলার মানুষকে অনেক কষ্টে সময় পার করতে হয়। নিম্নবিত্ত মানুষ গরম কাপড়ের জন্য হাহাকার করে। সরকারিভাবে যে সহায়তা আসে তা গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের হাতে পৌঁছে না।’

কৃষক দরিমান আলী বলেন, ‘রাতে বৃষ্টির মতো শীত পড়ছে, ঠাণ্ডা লাগছে। সন্ধ্যা হলেই কুয়াশা শুরু হয় থাকে সকাল ৮-৯ টা পর্যন্ত। এখন গরম কাপড় পড়তে হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর এলাকার বেলাল হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও কৃষি প্রধান এলাকা। কিন্তু এ জেলায় আবহাওয়া অফিস নেই। এ কারণে আবহাওয়ার আগাম খবর পাওয়া যায় না। কখন কি আবহাওয়া থাকবে সব ধারণা করে চলতে হয়। এ জেলায় আবহাওয়া অফিস বিশেষ প্রয়োজন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাতে ঘনকুয়াশা, ধান গাছে মাকড়শার জ্বাল, ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত ঠাকুরগাঁওয়ের অর্থনীতির সাথে জড়িত। কারণ শীতকালে ঠাকুরগাঁওয়ের উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হয়। অনৈক মানুষের কর্মের ব্যবস্থা হয়। এ জেলার কৃষক-শ্রমিক শীতকে উপেক্ষা করে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঠাকুরগাঁও

ঘনকুয়াশায় কার্তিকেই শীতের হাতছানি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৪৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

টানা তিন দিন বৃষ্টির পর ঠাকুরগাঁওয়ে ঘনকুয়াশা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলার রহিমানপুর, রায়পুর, জামালপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আকাশে ঘনকুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো। রাতে শুরু হওয়া ঘনকুয়াশা যা স্থায়ী ছিল সকাল ৮টা পর্যন্ত।

গত কয়েক দিনে জমে থাকা বৃষ্টির পানি বাষ্পায়িত হয়ে কুয়াশা আকারে শোষণ হচ্ছে। এ কারণে ঘনকুয়াশা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সকাল ৮ টার পরে সূর্যের হাসিতে কেটে যায় কুয়াশা। আগের চেয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা আবহওয়ার কারণে স্থানীয়রা মনে করছেন, শীত এই এলো বুঝি।

গরমের পর বৃষ্টি আর বৃষ্টির পরেই ঘনকুয়াশার সাথে ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরলেও চিন্তিত এ জেলার মানুষ। কারণ উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের প্রথমে শুরু হয় শীত, থাকে শেষ পর্যন্ত। অতিরিক্ত শীতের কারণে জনদুর্ভোগে পড়তে হয় বিশেষ করে জেলার খেটে খাওয়া মানুষদের।

সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক কফিল উদ্দিন বলেন, ‌‘শীত শুরু তো ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের চিন্তা শুরু। কারণ শীতকালে এ জেলার মানুষকে অনেক কষ্টে সময় পার করতে হয়। নিম্নবিত্ত মানুষ গরম কাপড়ের জন্য হাহাকার করে। সরকারিভাবে যে সহায়তা আসে তা গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের হাতে পৌঁছে না।’

কৃষক দরিমান আলী বলেন, ‘রাতে বৃষ্টির মতো শীত পড়ছে, ঠাণ্ডা লাগছে। সন্ধ্যা হলেই কুয়াশা শুরু হয় থাকে সকাল ৮-৯ টা পর্যন্ত। এখন গরম কাপড় পড়তে হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর এলাকার বেলাল হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁও কৃষি প্রধান এলাকা। কিন্তু এ জেলায় আবহাওয়া অফিস নেই। এ কারণে আবহাওয়ার আগাম খবর পাওয়া যায় না। কখন কি আবহাওয়া থাকবে সব ধারণা করে চলতে হয়। এ জেলায় আবহাওয়া অফিস বিশেষ প্রয়োজন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাতে ঘনকুয়াশা, ধান গাছে মাকড়শার জ্বাল, ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। শীত ঠাকুরগাঁওয়ের অর্থনীতির সাথে জড়িত। কারণ শীতকালে ঠাকুরগাঁওয়ের উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হয়। অনৈক মানুষের কর্মের ব্যবস্থা হয়। এ জেলার কৃষক-শ্রমিক শীতকে উপেক্ষা করে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করেন।