ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার শেষ নৌযানটিও আটকে দিল ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬৩ Time View

গাজা অভিমুখে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মূল বহরের শেষ নৌযানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানটির নাম দ্য ম্যারিনেট।

ফ্লোটিলা আয়োজকদের লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা ম্যারিনেটে উঠে অধিকারকর্মীদের ঘিরে ফেলেন। এই নৌকায় মোট ছয়জন অধিকারকর্মী ছিলেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, দ্য ম্যারিনেটসহ ইসরায়েলি সেনারা মোট ৪৪টি নৌযান আটকে দিয়েছে। আটক করেছে প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা ৪৩টি নৌযান আটকে দেয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মূল বহরের একমাত্র সক্রিয় নৌযান ছিল ম্যারিনেট।

শুক্রবার ভোরে ম্যারিনেট ভূমধ্যসাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল। গাজার জলসীমা থেকে তখন এটির দূরত্ব ছিল প্রায় ৮০ কিলোমিটার। ম্যারিনেটের বিষয়ে একটি সতর্কবার্তায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের ও অবরোধ ভাঙার চেষ্টা অবশ্যই প্রতিহত করা হবে।

এর আগে, বহরের প্রায় সব নৌযান ও কয়েকশ কর্মীকে হেফাজতে নেয় ইসরায়েল। ম্যারিনেট জাহাজটিই শুধু চলছিল। এবার সেটিরও দখল নেওয়া হলো।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেটে ছয়জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে।

গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় গতকাল রাতে ফ্লোটিলায় প্রথমবারের মতো সরাসরি বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।

এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান ছিল। বহরে প্রায় ৪৪টি নৌযানে ৫০০ মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার শেষ নৌযানটিও আটকে দিল ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৬:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

গাজা অভিমুখে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মূল বহরের শেষ নৌযানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানটির নাম দ্য ম্যারিনেট।

ফ্লোটিলা আয়োজকদের লাইভ ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা ম্যারিনেটে উঠে অধিকারকর্মীদের ঘিরে ফেলেন। এই নৌকায় মোট ছয়জন অধিকারকর্মী ছিলেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, দ্য ম্যারিনেটসহ ইসরায়েলি সেনারা মোট ৪৪টি নৌযান আটকে দিয়েছে। আটক করেছে প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা ৪৩টি নৌযান আটকে দেয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মূল বহরের একমাত্র সক্রিয় নৌযান ছিল ম্যারিনেট।

শুক্রবার ভোরে ম্যারিনেট ভূমধ্যসাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল। গাজার জলসীমা থেকে তখন এটির দূরত্ব ছিল প্রায় ৮০ কিলোমিটার। ম্যারিনেটের বিষয়ে একটি সতর্কবার্তায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশের ও অবরোধ ভাঙার চেষ্টা অবশ্যই প্রতিহত করা হবে।

এর আগে, বহরের প্রায় সব নৌযান ও কয়েকশ কর্মীকে হেফাজতে নেয় ইসরায়েল। ম্যারিনেট জাহাজটিই শুধু চলছিল। এবার সেটিরও দখল নেওয়া হলো।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেটে ছয়জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে।

গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় গতকাল রাতে ফ্লোটিলায় প্রথমবারের মতো সরাসরি বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।

এই নৌবহরে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান ছিল। বহরে প্রায় ৪৪টি নৌযানে ৫০০ মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের নাগরিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক রয়েছেন।