ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে রাত থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৪ Time View

গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা হতে পর দিন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৬টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপির নেতারা। এসময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলা হয়। এ ঘটনার পর এনসিপির নেতারা সরকারি স্থাপনায় অবস্থান নেন।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত এনসিপির সমাবেশের মঞ্চেও হামলা চালায় ছাত্রলীগ। সমাবেশ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। পরে পৌরপার্ক এলাকা ত্যাগ করার কিছু সময় পর হামলার মুখে পড়ে এনসিপির গাড়িবহর।

বিকেলে গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুর যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন এনসিপির নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। তবে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে  ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্যও যোগ দেন।
 
হামলার মুখে এনসিপি নেতারা বর্তমানে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পাশাপাশি তারা দেশবাসীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গোপালগঞ্জে রওনা দেয়ারও আহ্বান জানান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
ওই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। পরে রাত থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারির তথ্য জানানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

গোপালগঞ্জে রাত থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৭:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা হতে পর দিন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৬টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপির নেতারা। এসময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলা হয়। এ ঘটনার পর এনসিপির নেতারা সরকারি স্থাপনায় অবস্থান নেন।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত এনসিপির সমাবেশের মঞ্চেও হামলা চালায় ছাত্রলীগ। সমাবেশ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। পরে পৌরপার্ক এলাকা ত্যাগ করার কিছু সময় পর হামলার মুখে পড়ে এনসিপির গাড়িবহর।

বিকেলে গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুর যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন এনসিপির নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। তবে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পড়েন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে  ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্যও যোগ দেন।
 
হামলার মুখে এনসিপি নেতারা বর্তমানে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পাশাপাশি তারা দেশবাসীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গোপালগঞ্জে রওনা দেয়ারও আহ্বান জানান। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
ওই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। পরে রাত থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারির তথ্য জানানো হয়।

গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি