ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেট প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি ইকরামুল কবির, সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় ১৪ জন নিহতের ঘটনায় চালক-হেলপার কারাগারে সূর্যের প্রখরতা আর ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ বিএনপির লক্ষ্য একাত্তর মুছে সাত চল্লিশে ফিরে যাওয়া: শাহরিয়ার কবির  হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির, একই পরিবারের ৬ জন নিহত ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহত ১৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো আরও ৪৬ বিজিপি সদস্য মোদিকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা মাদক ব্যবসায় বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে সিআইডি বিয়ের মিথ্যে নাটক সাজিয়ে অবৈধ সর্ম্পক স্থাপন, আসামী গ্রেফতার
মির্জা আব্বাস

গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যত এবং পরিবারের কথা চিন্তা করবেন

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ১৭৬ Time View

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ, টিয়ার শেল নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন, এই পোশাক কিন্তু সারা জীবন আপনাদের গায়ে থাকবে না। সুতরাং গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যতের কথা, পরিবার ও সন্তানের বিষয়ে চিন্তা করবেন।

আজ শনিবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে পীরজঙ্গী মাজারের সামনে এই জনসমাবেশ হয়।

গতকাল শুক্রবার খুলনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা আব্বাস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, মনে রাখবেন আপনাদের বেতন হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। জনগণের ওপর বিনা কারণে গুলি করবেন না। আগে যারা গুলি করেছেন তারা এখন নেই। কেউ কেউ অবসরে চলে গেছেন। ২০১৩ সালে শাহজাহানপুরে আমার বাসায় র‌্যাব হামলা করেছিলো। আমরা ভুলি নাই। ৪৮ বছর পর আওয়ামী লীগ যদি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পারে আমরাও ৪৮ বছর পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আজকের অত্যাচার নিপীড়নের বিচার করতে পারব। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বলব তোমরা দেখে নাও এবং জেনে নাও আমাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে।

‘বিএনপি হাটুভাঙ্গা দল’-আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন না। বিএনপি হাঁটু ভাঙা নাকি কে হাঁটু ভাঙা? আজকে নতুন প্রজন্মের কেউ ভোট দিতে পারে না। তারা জানে না ভোটের রং কি? তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলেই বুঝবেন কোমরে জোর আছে নাকি হাঁটুতে। তখন পালানোর পথ পাবেন না। এখন ক্ষমতায় আছেন তো টের পাচ্ছেন না।

‘সব কথা বলতে গেলে দেখবেন আমার লাশটা রাস্তায় পড়ে আছে’-সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আজকে সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রী নিজের মুখেই বলেছেন সব কথা বললে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। এ ধরনের কথা যখন মন্ত্রী বলেন তখন আমরা আর কী বলতে পারি। আমাদের নেতাকর্মীরা তো অহরহ মার খাচ্ছে। গুলি খাচ্ছে। তাদের লাশ পড়ছে।

ব্যালটের বদলে বুলেট কেন —এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অধিকারের কথা বলতে গেলে পুলিশের পিটুনি খাচ্ছে মানুষ। এই দেশের মানুষ ভোটাধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলেই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়, যা বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে হয় না। প্রতিবেশী ভারতেও গুলি করা হয় না। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য খুনি হাসিনার সরকার গুলি চালায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ভোটের তোয়াক্কা করে না।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আসুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রস্তুতি নিই। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে এই সরকারকে বানের পানির মতো ভাসিয়ে দিব।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আক্রমণ আসলে এখন থেকে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। কেউ আমাদের কামড়াবে আর আমরা বসে বাঁশি বাজাব তা হতে পারে না। আগামীদিনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে আন্দোলন হবে তার মাধ্যমে সরকারকে বানের পানির মতোন ভাসিয়ে দেওয়া হবে।

খুলনায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলির অভিযোগ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা তো আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন এই পোশাক কিন্তু সারা জীবন আপনাদের গায়ে থাকবে না। সুতরাং গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যতের জন্য এবং পরিবার ও সন্তানের বিষয়টি চিন্তা করবেন।’

দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, হাবিবুর রশিদ হাবিব, লিটন মাহমুদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, কৃষকদলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

মির্জা আব্বাস

গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যত এবং পরিবারের কথা চিন্তা করবেন

Update Time : ০৮:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ, টিয়ার শেল নিক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন, এই পোশাক কিন্তু সারা জীবন আপনাদের গায়ে থাকবে না। সুতরাং গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যতের কথা, পরিবার ও সন্তানের বিষয়ে চিন্তা করবেন।

আজ শনিবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধীনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে পীরজঙ্গী মাজারের সামনে এই জনসমাবেশ হয়।

গতকাল শুক্রবার খুলনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা আব্বাস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, মনে রাখবেন আপনাদের বেতন হয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। জনগণের ওপর বিনা কারণে গুলি করবেন না। আগে যারা গুলি করেছেন তারা এখন নেই। কেউ কেউ অবসরে চলে গেছেন। ২০১৩ সালে শাহজাহানপুরে আমার বাসায় র‌্যাব হামলা করেছিলো। আমরা ভুলি নাই। ৪৮ বছর পর আওয়ামী লীগ যদি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পারে আমরাও ৪৮ বছর পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আজকের অত্যাচার নিপীড়নের বিচার করতে পারব। আমাদের নতুন প্রজন্মকে বলব তোমরা দেখে নাও এবং জেনে নাও আমাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে।

‘বিএনপি হাটুভাঙ্গা দল’-আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখুন না। বিএনপি হাঁটু ভাঙা নাকি কে হাঁটু ভাঙা? আজকে নতুন প্রজন্মের কেউ ভোট দিতে পারে না। তারা জানে না ভোটের রং কি? তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলেই বুঝবেন কোমরে জোর আছে নাকি হাঁটুতে। তখন পালানোর পথ পাবেন না। এখন ক্ষমতায় আছেন তো টের পাচ্ছেন না।

‘সব কথা বলতে গেলে দেখবেন আমার লাশটা রাস্তায় পড়ে আছে’-সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আজকে সরকারের শিল্প প্রতিমন্ত্রী নিজের মুখেই বলেছেন সব কথা বললে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। এ ধরনের কথা যখন মন্ত্রী বলেন তখন আমরা আর কী বলতে পারি। আমাদের নেতাকর্মীরা তো অহরহ মার খাচ্ছে। গুলি খাচ্ছে। তাদের লাশ পড়ছে।

ব্যালটের বদলে বুলেট কেন —এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অধিকারের কথা বলতে গেলে পুলিশের পিটুনি খাচ্ছে মানুষ। এই দেশের মানুষ ভোটাধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলেই তাদের ওপর গুলি চালানো হয়, যা বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে হয় না। প্রতিবেশী ভারতেও গুলি করা হয় না। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য খুনি হাসিনার সরকার গুলি চালায়। তারা ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ভোটের তোয়াক্কা করে না।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ নিশিরাতের সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আসুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রস্তুতি নিই। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে এই সরকারকে বানের পানির মতো ভাসিয়ে দিব।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আক্রমণ আসলে এখন থেকে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। কেউ আমাদের কামড়াবে আর আমরা বসে বাঁশি বাজাব তা হতে পারে না। আগামীদিনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে আন্দোলন হবে তার মাধ্যমে সরকারকে বানের পানির মতোন ভাসিয়ে দেওয়া হবে।

খুলনায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলির অভিযোগ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা তো আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। যারা গুলি করছেন মনে রাখবেন এই পোশাক কিন্তু সারা জীবন আপনাদের গায়ে থাকবে না। সুতরাং গুলি চালানোর সময় ভবিষ্যতের জন্য এবং পরিবার ও সন্তানের বিষয়টি চিন্তা করবেন।’

দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরফত আলী সপু, কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপির নবীউল্লাহ নবী, হাবিবুর রশিদ হাবিব, লিটন মাহমুদ, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, কৃষকদলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ।