ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুর-৬ নবগঠিত আসন বাতিলে রাজনৈতিক ও এলাকা বাসীর উদ্বেগ

অলিদুর রহমান অলি, গাজীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ Time View

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত নবগঠিত গাজীপুর-৬ আসন সোমবার (১০ অক্টোবর) হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে। আদালত এর পরিবর্তে বাগেরহাট-৪ আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। এই রায়কে কেন্দ্র করে বৃহত্তর টঙ্গী ও অবিভক্ত গাজীপুর-২ এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি আলহাজ মো. হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, “নাগরিকদের নতুন সম্ভাবনার সূচনা হতে পারত, কিন্তু আদালতের এই রায় সেই সুযোগ ব্যর্থ করেছে।”

কেন্দ্রীয় জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, “আমরা আপিলে যাব। সবাইকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। জয় আমাদেরই হবে, ইনশাআল্লাহ।”

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু বলেন, “গাজীপুর শিল্পাঞ্চল ও ঘনবসতিপূর্ণ শহর। ছয়টি আসন থাকা গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।”

বিএনপির টঙ্গী পশ্চিম থানার আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাসন মেট্রো থানা ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে গাজীপুর সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। আশা করি সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।”

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার বলেন, “গাজীপুর-৬ বাতিলের ফলে এলাকার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান বলেন, “গাজীপুর-৬ আসন গাজীপুরবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল। টঙ্গী, গাছা ও পূবাইলের মানুষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।”

গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বলেন, “গাজীপুরের জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক বাস্তবতায় ছয়টি আসনই যৌক্তিক ছিল। আসন বাতিলে নাগরিক উন্নয়ন ব্যাহত হবে।”

টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এস নুরুল ইসলাম বলেন, “গাজীপুর-২ এ আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা এবং গাজীপুর-৬ বাতিলে আমরা দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত।”

সাংবাদিক উন্নয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গী থিয়েটার সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শাহজাহান শোভন বলেন, “গাজীপুর-৬ আসন ঘোষণায় জনগণের যে আনন্দ ছিল, আদালতের রায়ে তা হতাশায় রূপ নিয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাইকোর্টের এই রায় টঙ্গী, গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৬ এলাকায় নির্বাচনী রাজনীতি, মনোনয়নপ্রক্রিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের অবস্থানে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজীপুর-৬ নবগঠিত আসন বাতিলে রাজনৈতিক ও এলাকা বাসীর উদ্বেগ

অলিদুর রহমান অলি, গাজীপুর প্রতিনিধি
Update Time : ১০:১৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত নবগঠিত গাজীপুর-৬ আসন সোমবার (১০ অক্টোবর) হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে। আদালত এর পরিবর্তে বাগেরহাট-৪ আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। এই রায়কে কেন্দ্র করে বৃহত্তর টঙ্গী ও অবিভক্ত গাজীপুর-২ এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি আলহাজ মো. হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, “নাগরিকদের নতুন সম্ভাবনার সূচনা হতে পারত, কিন্তু আদালতের এই রায় সেই সুযোগ ব্যর্থ করেছে।”

কেন্দ্রীয় জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সরকার বলেন, “আমরা আপিলে যাব। সবাইকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি। জয় আমাদেরই হবে, ইনশাআল্লাহ।”

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু বলেন, “গাজীপুর শিল্পাঞ্চল ও ঘনবসতিপূর্ণ শহর। ছয়টি আসন থাকা গণতান্ত্রিক ভারসাম্যের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।”

বিএনপির টঙ্গী পশ্চিম থানার আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাসন মেট্রো থানা ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকভাবে গাজীপুর সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। আশা করি সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।”

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার বলেন, “গাজীপুর-৬ বাতিলের ফলে এলাকার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান বলেন, “গাজীপুর-৬ আসন গাজীপুরবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল। টঙ্গী, গাছা ও পূবাইলের মানুষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।”

গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ বলেন, “গাজীপুরের জনসংখ্যা ও প্রশাসনিক বাস্তবতায় ছয়টি আসনই যৌক্তিক ছিল। আসন বাতিলে নাগরিক উন্নয়ন ব্যাহত হবে।”

টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এস নুরুল ইসলাম বলেন, “গাজীপুর-২ এ আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা এবং গাজীপুর-৬ বাতিলে আমরা দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত।”

সাংবাদিক উন্নয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গী থিয়েটার সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শাহজাহান শোভন বলেন, “গাজীপুর-৬ আসন ঘোষণায় জনগণের যে আনন্দ ছিল, আদালতের রায়ে তা হতাশায় রূপ নিয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাইকোর্টের এই রায় টঙ্গী, গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৬ এলাকায় নির্বাচনী রাজনীতি, মনোনয়নপ্রক্রিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের অবস্থানে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।