ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় হিন্দু যুবকের ফাঁসির দাবিতে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল 

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৯১ Time View

গাজীপুরে হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে লাগাতার ৩ দিন ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘তুমি কে আমি কে, আশা মনি, আশা মনি’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারত না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহিম বলেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টে হিন্দু বন্ধু আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের সবার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই এবং মিলেমিশে চলি। কিন্তু, তাদের মধ্যে বিজিবি, ‘র‌’ ও ইসকন কেন্দ্রিক একটি দালাল চক্র বাংলাদেশের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করার জন্য দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আপনারা সবাই সোচ্চার থাকবেন। কোনো ক্ষেত্রেই সামান্য ছাড় দেওয়া হবে না।’

রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কায়েসুর রহমান বলেন, ‘হিন্দুদের মধ্যে একটি শ্রেণি আছে যারা মুসলিম নারীদের টার্গেট করছে। কোনো নারী ধর্ষণ হলেই বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবীরা সোচ্চার হন। ধার্মিক পর্দাশীল কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে তারা চুপ করে থাকেন। আমরা সবই বুঝি, এখনই প্রয়োজন বিপ্লব পরবর্তী সময়ে তাদের বয়কট করা। আমাদের নতুন সুচিন্তাশীল অ্যাক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবী দরকার।’

উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর কান্নাজড়িত একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে নেটিজেনরা। জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বয়স আনুমানিক ১৩ বছর। দুই মাস আগে এই ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী সঞ্জিত বর্মণ ও তার শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় লোকনাথের ভাগিনা জয় কুমার দাস মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক লাগাতার তিনদিন ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় হিন্দু যুবকের ফাঁসির দাবিতে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল 

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৩:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

গাজীপুরে হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে লাগাতার ৩ দিন ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জুমা কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে গোল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘তুমি কে আমি কে, আশা মনি, আশা মনি’, ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারত না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহিম বলেন, ‘আমাদের ডিপার্টমেন্টে হিন্দু বন্ধু আছে, যাদের সঙ্গে আমাদের সবার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই এবং মিলেমিশে চলি। কিন্তু, তাদের মধ্যে বিজিবি, ‘র‌’ ও ইসকন কেন্দ্রিক একটি দালাল চক্র বাংলাদেশের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করার জন্য দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আপনারা সবাই সোচ্চার থাকবেন। কোনো ক্ষেত্রেই সামান্য ছাড় দেওয়া হবে না।’

রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কায়েসুর রহমান বলেন, ‘হিন্দুদের মধ্যে একটি শ্রেণি আছে যারা মুসলিম নারীদের টার্গেট করছে। কোনো নারী ধর্ষণ হলেই বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবীরা সোচ্চার হন। ধার্মিক পর্দাশীল কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে তারা চুপ করে থাকেন। আমরা সবই বুঝি, এখনই প্রয়োজন বিপ্লব পরবর্তী সময়ে তাদের বয়কট করা। আমাদের নতুন সুচিন্তাশীল অ্যাক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবী দরকার।’

উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর কান্নাজড়িত একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে নেটিজেনরা। জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বয়স আনুমানিক ১৩ বছর। দুই মাস আগে এই ভাড়া বাসা থেকে প্রতিবেশী সঞ্জিত বর্মণ ও তার শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় লোকনাথের ভাগিনা জয় কুমার দাস মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক লাগাতার তিনদিন ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।