গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য মিশরে পৌঁছেছেন হামাসের প্রধান আলোচক

- Update Time : ০২:৪৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩৭ Time View
হামাসের শীর্ষ আলোচক খালিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোববার মিশরে পৌঁছেছে বলে ফিলিস্তিন সংগঠনটি জানিয়েছে। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি-বিনিময় চুক্তি নিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এই আলোচনা সোমবার মিশরের পর্যটন নগরী শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত মাসে দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের চালানো বিমান হামলার পর এটি হবে হাইয়ার প্রথম বৈঠক।
গতকাল রোববার তিনি কাতারে একটি পূর্বে রেকর্ডকৃত টিভি ভাষণে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসেন। কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একাধিক দফা আলোচনা হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, হাইয়ার নেতৃত্বে ‘যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া, দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনিময়’ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করার জন্য প্রতিনিধিদলটি মিশরে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির রূপরেখায় উভয় পক্ষ হামাস ও ইসরাইল ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। প্রস্তাবে গাজায় আটক ব্যক্তিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত কিছু নির্ধারণ হয়নি।
ইসরাইলি প্রতিনিধিদল সোমবার শার্ম আল-শেখের উদ্দেশে রওনা দেবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর।
এই চুক্তি চূড়ান্ত করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুইজন দূত পাঠিয়েছেন: তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জারেড কুশনার।
রোববারের বক্তব্যে হাইয়া আলোচনার বিষয়ে কিছু বলেননি কিংবা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি দোহা হামলায় নিহত তার ছেলে ও আরও পাঁচজনকে স্মরণ করে বক্তব্য দেন।
ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের শীর্ষ নেতারা দোহায় ইসরাইলি হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন। এর ফলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এর নিন্দা জানান এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কাতারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়