ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে কুবিতে মানববন্ধন 

গাজা কিনে নিতে চান ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪ Time View

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে ‘ক্রয় ও মালিকানায় নেওয়ার’ পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডকে ‘বড় রিয়েল এস্টেট প্রকল্প’ হিসেবে দেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

রোববার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ওখানে এখন আর কিছুই নেই, পুরো জায়গাটিই ধ্বংসস্তুপ। এখন আমরা এটির মালিকানা নেবো ও নিশ্চিত করবো যে হামাস যেন আর ফিরে আসতে না পারে।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আর সেখানে ফিরে যেতে চান না। বরং তারা অন্য কোথাও নিরাপদ আশ্রয় পেলে সেখানেই থাকতে পছন্দ করবেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা কেবল গাজায় ফিরে যেতে চাচ্ছেন, কারণ এই মুহূর্তে তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু যদি তাদের অন্য কোনো নিরাপদ জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে তারা গাজায় ফিরে যেতে চাইবেন না।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজাকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিলে এটি ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন যে, এটি কার্যকর করতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

এদিকে, ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, গাজা কোনো ক্রয়যোগ্য সম্পত্তি নয়। এটি ‘আমাদের দখলকৃত’ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন সংকটকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার চোখে দেখলে, তা চরম ব্যর্থতার দিকেই ধাবিত হবে। আমাদের জনগণ সব ধরনের বাস্তুচ্যুতি ও উচ্ছেদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করবে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে বৈপ্লবিক ও সৃজনশীল বলে প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে, ট্রাম্পের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি সরকার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, ফিলিস্তিনি নেতারা ও বেশ কয়েকটি আরব দেশ এই পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার খর্ব করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখছে। মিশর ও জর্ডান আগেই ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

রোববার সৌদি আরব নেতানিয়াহুর এক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। সৌদি ভূমিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব ভূমিতে থাকার অধিকার রয়েছে। তারা কোনো বহিরাগত নয়, যাদের ইচ্ছেমতো বিতাড়িত করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজা কিনে নিতে চান ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে ‘ক্রয় ও মালিকানায় নেওয়ার’ পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডকে ‘বড় রিয়েল এস্টেট প্রকল্প’ হিসেবে দেখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোকে গাজা পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

রোববার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ওখানে এখন আর কিছুই নেই, পুরো জায়গাটিই ধ্বংসস্তুপ। এখন আমরা এটির মালিকানা নেবো ও নিশ্চিত করবো যে হামাস যেন আর ফিরে আসতে না পারে।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আর সেখানে ফিরে যেতে চান না। বরং তারা অন্য কোথাও নিরাপদ আশ্রয় পেলে সেখানেই থাকতে পছন্দ করবেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা কেবল গাজায় ফিরে যেতে চাচ্ছেন, কারণ এই মুহূর্তে তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু যদি তাদের অন্য কোনো নিরাপদ জায়গা দেওয়া হয়, তাহলে তারা গাজায় ফিরে যেতে চাইবেন না।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজাকে পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিলে এটি ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন যে, এটি কার্যকর করতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

এদিকে, ট্রাম্পের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, গাজা কোনো ক্রয়যোগ্য সম্পত্তি নয়। এটি ‘আমাদের দখলকৃত’ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন সংকটকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার চোখে দেখলে, তা চরম ব্যর্থতার দিকেই ধাবিত হবে। আমাদের জনগণ সব ধরনের বাস্তুচ্যুতি ও উচ্ছেদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করবে।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে বৈপ্লবিক ও সৃজনশীল বলে প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে, ট্রাম্পের গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলি সরকার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, ফিলিস্তিনি নেতারা ও বেশ কয়েকটি আরব দেশ এই পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার খর্ব করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখছে। মিশর ও জর্ডান আগেই ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

রোববার সৌদি আরব নেতানিয়াহুর এক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। সৌদি ভূমিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব ভূমিতে থাকার অধিকার রয়েছে। তারা কোনো বহিরাগত নয়, যাদের ইচ্ছেমতো বিতাড়িত করা যাবে।