ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

গাজায় ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ ঘোষণা ইসরায়েলের, খাদ্য-পানি-বিদ্যুৎ বন্ধ

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:০৯:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২১৬ Time View

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হওয়া ইসরায়েল অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ‘সর্বাত্মক’ অবরোধ ঘোষণা করেছে।

সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

দীর্ঘদিন ধরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতায় রয়েছে হামাস। এই গোষ্ঠী শনিবার ভোরের দিকে আচমকা রকেট নিক্ষেপ শুরু করে ইসরায়েলে।

পরে গাজা উপত্যকায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তৃতীয় দিনে পৌঁছানো উভয়পক্ষের চলমান লড়াইয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, চলমান সহিংসতায় গাজায় এক লাখ ২৩ হাজারের বেশি বাসিন্দা ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মাঝেই পুরো উপত্যকাকে মরুর দ্বীপে পরিণত করার হুমকি দিয়ে বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কর্তৃপক্ষ হামাস-অধিকৃত গাজায় ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেবে।

ইসরায়েলি এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ‘বদমাশ লোকজনের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসাবে সর্বাত্মক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গাজাকে পুরোপুরি অবরোধ করছি… বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই— সবই বন্ধ আছে।’

এর আগে, ২০০৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে হামাস ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর ইসরায়েল এবং মিসর গাজার ওপর বিভিন্ন ধরনের অবরোধ আরোপ করে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসরায়েলের।

তিনি বলেন, সোমবার সকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই পর্যায়ে সেখানকার সম্প্রদায়ের মাঝে কোনও ধরনের সংঘাত হচ্ছে না। তবে এখনও ওই অঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজায় ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ ঘোষণা ইসরায়েলের, খাদ্য-পানি-বিদ্যুৎ বন্ধ

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৬:০৯:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হওয়া ইসরায়েল অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ‘সর্বাত্মক’ অবরোধ ঘোষণা করেছে।

সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এই অবরোধের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

দীর্ঘদিন ধরে গাজা উপত্যকার ক্ষমতায় রয়েছে হামাস। এই গোষ্ঠী শনিবার ভোরের দিকে আচমকা রকেট নিক্ষেপ শুরু করে ইসরায়েলে।

পরে গাজা উপত্যকায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তৃতীয় দিনে পৌঁছানো উভয়পক্ষের চলমান লড়াইয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, চলমান সহিংসতায় গাজায় এক লাখ ২৩ হাজারের বেশি বাসিন্দা ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এর মাঝেই পুরো উপত্যকাকে মরুর দ্বীপে পরিণত করার হুমকি দিয়ে বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কর্তৃপক্ষ হামাস-অধিকৃত গাজায় ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দেবে।

ইসরায়েলি এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ‘বদমাশ লোকজনের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসাবে সর্বাত্মক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা গাজাকে পুরোপুরি অবরোধ করছি… বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই— সবই বন্ধ আছে।’

এর আগে, ২০০৭ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে হামাস ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর ইসরায়েল এবং মিসর গাজার ওপর বিভিন্ন ধরনের অবরোধ আরোপ করে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসরায়েলের।

তিনি বলেন, সোমবার সকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই পর্যায়ে সেখানকার সম্প্রদায়ের মাঝে কোনও ধরনের সংঘাত হচ্ছে না। তবে এখনও ওই অঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।