ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় পৌঁছাতে পারেননি শহিদুল আলম, জানালেন সর্বশেষ পরিস্থিতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৭ Time View

নির্ধারিত সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় পৌঁছাতে পারেননি লেখক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। নিজের অবস্থান ও সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়েছেন তিনি নিজেই। পাশাপাশি গাজায় পৌঁছাতে আর কত সময় লাগবে, তাও জানিয়েছেন।

রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রথম প্রশ্নের ক্ষেত্রে, সবচেয়ে ভালো উপায়, ট্র্যাকার ব্যবহার করে আমাদের যাত্রাপথ অনুসরণ করা। ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’, যার সঙ্গে আমরা আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ওপর একটি তদন্তমূলক ফিল্ম তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলাম—এই সাইটের মাধ্যমে কনশানস ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস উভয় নৌবহরের যাত্রাপথ ট্র্যাক করছে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে শহিদুল আলম লিখেন, এর উত্তর নির্ভর করছে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) আমাদের ওপর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটার ওপর। অতীতের ঘটনাগুলো দেখলে বোঝা যায়, তারা আমাদের যেতে দেবে না। আটক করা হতে পারে। এরপর আমাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে, নয়তো কারাগারে পাঠানো হতে পারে। কখন, কোথায় এটা ঘটতে পারে, তা আগে থেকে বোঝা অসম্ভব। এটা আমাদের হাতে নেই।

এক্ষেত্রে ‘আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন’ উল্লেখ করে শহিদুল আলম পোস্টে আরও লিখেন, যদি আপনারা এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা আমাদের গাজায় পৌঁছানোর জন্য চাপ তৈরি করে, তবে সেটা হবে সর্বোত্তম ফলাফল। একমাত্র উপায় হলো ইসরায়েলের ওপর সাধারণ মানুষের পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ। কাজেই এবার আপনাদের সুযোগ, পদক্ষেপ নিন। এক হোন, প্রতিরোধ করুন। এটা অধিকার আর ন্যায়বিচারের জন্য একটি প্রচার। আমাদের একসঙ্গে এটা করতে হবে।

এ ছাড়া পোস্টে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে রোববার সকালে শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়ার কথাও যুক্ত করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গাজা অভিমুখে থাকা কনশানস নৌযানে আছেন শহিদুল আলম। কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’ ও ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)’ নৌবহরের একটি জাহাজ।

এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি। তবে তাদের বহরে কোনো খাদ্যসহায়তা নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজায় পৌঁছাতে পারেননি শহিদুল আলম, জানালেন সর্বশেষ পরিস্থিতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১১:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

নির্ধারিত সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় পৌঁছাতে পারেননি লেখক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। নিজের অবস্থান ও সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়েছেন তিনি নিজেই। পাশাপাশি গাজায় পৌঁছাতে আর কত সময় লাগবে, তাও জানিয়েছেন।

রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রথম প্রশ্নের ক্ষেত্রে, সবচেয়ে ভালো উপায়, ট্র্যাকার ব্যবহার করে আমাদের যাত্রাপথ অনুসরণ করা। ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’, যার সঙ্গে আমরা আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ওপর একটি তদন্তমূলক ফিল্ম তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলাম—এই সাইটের মাধ্যমে কনশানস ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস উভয় নৌবহরের যাত্রাপথ ট্র্যাক করছে।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে শহিদুল আলম লিখেন, এর উত্তর নির্ভর করছে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) আমাদের ওপর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটার ওপর। অতীতের ঘটনাগুলো দেখলে বোঝা যায়, তারা আমাদের যেতে দেবে না। আটক করা হতে পারে। এরপর আমাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে, নয়তো কারাগারে পাঠানো হতে পারে। কখন, কোথায় এটা ঘটতে পারে, তা আগে থেকে বোঝা অসম্ভব। এটা আমাদের হাতে নেই।

এক্ষেত্রে ‘আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন’ উল্লেখ করে শহিদুল আলম পোস্টে আরও লিখেন, যদি আপনারা এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা আমাদের গাজায় পৌঁছানোর জন্য চাপ তৈরি করে, তবে সেটা হবে সর্বোত্তম ফলাফল। একমাত্র উপায় হলো ইসরায়েলের ওপর সাধারণ মানুষের পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ। কাজেই এবার আপনাদের সুযোগ, পদক্ষেপ নিন। এক হোন, প্রতিরোধ করুন। এটা অধিকার আর ন্যায়বিচারের জন্য একটি প্রচার। আমাদের একসঙ্গে এটা করতে হবে।

এ ছাড়া পোস্টে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে রোববার সকালে শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়ার কথাও যুক্ত করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গাজা অভিমুখে থাকা কনশানস নৌযানে আছেন শহিদুল আলম। কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’ ও ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)’ নৌবহরের একটি জাহাজ।

এফএফসি হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে ও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর একটি। তবে তাদের বহরে কোনো খাদ্যসহায়তা নেই।