গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাফল্য যেন উন্নয়নের রোল মডেল

- Update Time : ০১:১৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৮৪ Time View
স্বাধীনতা যুদ্ধ,উত্তর যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূন:নির্মাণ ও মেরামতের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে একটি “প্রকৌশল ইউনিট” গঠনের মাধ্যেমে আজকের এই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সৃষ্টি।
স্বাধীনতার পর থেকেই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে দেশের প্রতিটি মানুষকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে এ অধিদপ্তর কাজ শুরু করেন । এ লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় । শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মান, বিদ্যমান ভবনগুলোর সম্প্রসারন ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ অধিদপ্তরের নিবেদিত প্রকৌশলী ও কমকর্তা-কর্মচারীগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নততর অবকাঠামো তৈরি করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধাসহ ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা, ডিজাইনিং, পরিবীক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন,স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র সরবরাহ ইত্যাদি।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ-এর অধীনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন।
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে এ অধিদপ্তরের কাজের মান যেন সোনার বাংলা বিনির্মানের পাথেয়। জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ একঝাঁক চৌকস প্রকৌশলীর মাধ্যমে দপ্তরের সকল প্রকল্পের শতভাগ কাজ বাস্তবায়নে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গাইবান্ধা শহরের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ চত্বরে নির্মাণকৃত ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনের দৃশ্যমান প্রকল্পের সুনামের জয়গান শোনা যাচ্ছে। এখানে ব্যবহৃত সকল নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকসহ এলাকাবাসী।
কেটি- বিএইচবি জেভি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইন্জিনিয়ার আবু মোত্তালেব জানান, নির্মাণ সামগ্রী যাচাই বাছাই পূর্বক ভবনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নের শতভাগ বাস্তবায়নে আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সবসময় ভালো কাজ উপহার দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য মানুষের মনে জায়গা করে নিয়ে থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা।
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাজ সম্পর্কে, সাঘাটা উপজেলার পবনতাইড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
জোবায়দুর রহমান জানান, আমাদের এখানে তিন তলা ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুরু থেকে এখানকার কাজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান গুরুত্ব সহকারে দেখাশোনা করে নির্মাণকাজে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন। মোটকথা সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাফল্য বলে শেষ করা যাবে না।
এছাড়াও সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক – জুলফিকার আলী মন্ডল জানান, নির্মাণকাজের মান নিয়ে যদি বলতে চাই এখানে সবচেয়ে সেরা কাজ হয়েছে। ভবনের স্থায়িত্ব নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে চৌকস মেধাবী ইন্জিনিয়ার আছে বলেই সম্ভব হয়েছে।
এক বিশেষ বিবৃতিতে গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ জানান, আমাদের প্রকল্পের মধ্যে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপজেলা ভিত্তিক টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন, সরকারি কলেজ সমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ,সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা সদরে আধুনিক সরকারি পোষ্ট গ্রাজুয়েট কলেজ স্থাপন,নির্বাচিত মাদ্রাসার উন্নয়ন,নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র সংগ্রহ,সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত ও পুনর্বাসন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বেসরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন /ভবন নির্মাণ, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন রাস্তা নির্মাণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অফিস সমূহে আসবাবপত্র সরবরাহ, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনাবাসিক ভবন নির্মাণ বা সম্প্রসারণ ইত্যাদি।
যেমন এসব প্রকল্পের সঠিক মানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী, উপসহকারী প্রকৌশলী, লোকাল সুপারভিশন কমিটির অক্লান্ত ও নিবিড় তদারকির মাধ্যমে কাজের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে থাকেন।