ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় দফায় দফায় বন্যা; আশ্রয়ণের ঘর নদীগর্ভে

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:২২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ২৫ Time View

নদীর এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে এই তো নদীর খেলা, সকাল বেলা আমির রে ভাই ফকির সন্ধ্যে বেলা” যুগে যুগে গানটির বাস্তব রুপরেখা চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বিচরণ করছে। দেশের উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা, প্রতি বছরে প্রায় ২ থেকে ৩ বার বন্যা,নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এখনকার চরাঞ্চলের মানুষের জীবন প্রতিনিয়ত সংগ্রামের সাথে পরিচয়।

জেগে ওঠা চরে সরকার ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর করে দিলেও অনেক জায়গায় তীব্র ভাঙ্গনের ফলে নদী বেষ্টিত এলাকায় কিছু ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ভাঙ্গন কবলিত ভূমিহীন লোকজন জীবন বাচার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তন্মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরে নির্মাণকৃত ২০ টি ঘরের মধ্যে ৫ টি এবং রাজার চরের পুরাতন ব্যারাকের ৯ টি। ঘরগুলো ২০২১-২২ অর্থবছরের ছিল। যার প্রতিটি ঘরের বরাদ্দ মূল্য ছিলো প্রায় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মাণকৃত ঘরগুলো খুব ভালো জায়গায় ছিলো। যেখানে নদী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু নদীর স্রোতের মিশ্র চলাচল এবং বিভিন্ন জায়গায় চর জেগে নদীর স্রোত নির্মাণাধীন ঘরগুলোর দিকে যাওয়ার ফলেই ঘরগুলোর স্থান ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল আশ্রয়ণের ভাঙ্গনকবলিত লোকজনদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়ে তারা যেখানে বাড়ি করতে চায় সেখানে সহযোগিতা করেন।

স্থানীয়দের দাবি, চর কে টিকিয়ে রাখতে হলে এবং চরাঞ্চলের মানুষের বাঁচাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ও নদী খননের বিকল্প নেই। তাই অতিসত্বর তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান,আশ্রয়ণ প্রকল্পের যেগুলো ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তাদের অবশিষ্ট ঘরের অংশগুলোসহ অন্যত্রে পছন্দমত স্থানান্তর করেছে। পুনরায় নির্মাণে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি।

Please Share This Post in Your Social Media

গাইবান্ধায় দফায় দফায় বন্যা; আশ্রয়ণের ঘর নদীগর্ভে

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ১০:২২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

নদীর এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে এই তো নদীর খেলা, সকাল বেলা আমির রে ভাই ফকির সন্ধ্যে বেলা” যুগে যুগে গানটির বাস্তব রুপরেখা চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে বিচরণ করছে। দেশের উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা, প্রতি বছরে প্রায় ২ থেকে ৩ বার বন্যা,নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এখনকার চরাঞ্চলের মানুষের জীবন প্রতিনিয়ত সংগ্রামের সাথে পরিচয়।

জেগে ওঠা চরে সরকার ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর করে দিলেও অনেক জায়গায় তীব্র ভাঙ্গনের ফলে নদী বেষ্টিত এলাকায় কিছু ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ভাঙ্গন কবলিত ভূমিহীন লোকজন জীবন বাচার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তন্মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরে নির্মাণকৃত ২০ টি ঘরের মধ্যে ৫ টি এবং রাজার চরের পুরাতন ব্যারাকের ৯ টি। ঘরগুলো ২০২১-২২ অর্থবছরের ছিল। যার প্রতিটি ঘরের বরাদ্দ মূল্য ছিলো প্রায় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মাণকৃত ঘরগুলো খুব ভালো জায়গায় ছিলো। যেখানে নদী ভাঙ্গনের সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু নদীর স্রোতের মিশ্র চলাচল এবং বিভিন্ন জায়গায় চর জেগে নদীর স্রোত নির্মাণাধীন ঘরগুলোর দিকে যাওয়ার ফলেই ঘরগুলোর স্থান ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল আশ্রয়ণের ভাঙ্গনকবলিত লোকজনদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়ে তারা যেখানে বাড়ি করতে চায় সেখানে সহযোগিতা করেন।

স্থানীয়দের দাবি, চর কে টিকিয়ে রাখতে হলে এবং চরাঞ্চলের মানুষের বাঁচাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ও নদী খননের বিকল্প নেই। তাই অতিসত্বর তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান,আশ্রয়ণ প্রকল্পের যেগুলো ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তাদের অবশিষ্ট ঘরের অংশগুলোসহ অন্যত্রে পছন্দমত স্থানান্তর করেছে। পুনরায় নির্মাণে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি।