গাইবান্ধায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে পশুর হাট

- Update Time : ০৮:৫২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
- / ১৮৬ Time View
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাইবান্ধার সাঘাটায় কোরবানির পশুরহাটগুলো জমে উঠেছে।
প্রতিটি হাট বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল আমদানি হচ্ছে। বিক্রিও বেশ জমে উঠেছে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই গরু কেনা-বেচায় খুশি নন।
ক্রেতাদের অভিযোগ- দাম বেশি আর বিক্রেতাদের অভিযোগ তেমন দাম মিলছে না। আশানুরূপ দাম না পেয়ে নাখোশ বড় আকারের গরুর মালিকরা। পশুর হাটে ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তায় কাজ করছে।
কোরবানির ঈদ উপলেক্ষে সাঘাটা উপজেলায় নিয়মিত এবং মৌসুমীসহ প্রায় ৬ টি হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল আমদানী ও বেচা-কেনা হচ্ছে। বছরব্যাপী গরু পালনকারী খামারীরা এ সময় এসব হাটে প্রচুর পরিমাণে কোরবানির গরু বিক্রি করে।
ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা কোরবানির জন্য শেষমূহুর্তে পচ্ছন্দের গরু-ছাগল ক্রয় করতে হাট-বাজারগুলোতে ভিড় করছেন। ঈদের কয়েকটা দিন বাকি থাকায় ঢাকা,চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকারেরা হাট-বাজারে ভিড় করলেও গো-খাদ্যের দাম ও গাড়ি ভাড়া কয়েকগুণ বেশী হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গরুর দাম বেশি পড়ায় লোকসানের আশংকা পাইকারদের।
প্রতিহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খামারীদের কাছ থেকে সরাসরি গরু-ছাগল পাওয়া যায় না। তাদের কারণে গরু-ছাগলের দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারারা।
তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষিসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতা বা খামারীরা।
যোগিপাড়া গ্রামের খামারি আনছার আলী জানান, গো-খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় গরু পালনে অনাগ্রহ বেড়ে গেছে। একারণে বেশী দামে বিক্রি করতে না পারলে এবার খামারিদেকে লোকসান গুনতে হবে।
উপজেলার ভরতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের আলী বাবা নামে খ্যাত সবচেয়ে দর্শনীয় গরু দেখার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে প্রতিদিন। গরুটির ওজন প্রায় ১৫ শ কেজি এবং দাম হাকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা। ১৪ লাখ টাকা হলে সে আলী বাবাকে বিক্রি করবে।
এবার ভারত থেকে গরু না আসলেও দেশী গরুর সংখ্যা অনেক বেশী রয়েছে। কিন্তু পাইকারদের আনা-গোনা কম বলে জানান ভরতখালী হাট কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যরা।
এদিকে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য হাট কমিটির লোকজন ও পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান সাঘাটা থানার পুলিশ কর্মকর্তা।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়