ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় আশ্রয়ণের নির্মাণাধীন ঘরের মালামাল চুরি

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:২৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৪০ Time View

গাইবান্ধায় গহীন চরে ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের টিন,দরজা ও কাঠ চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

চলতি মাসের ৫ আগস্টে যখন সরকার পতনের ডাক দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চরমে ঠিক তখন এই প্রকল্পের কাজকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে এবং স্বীয় স্বার্থে এই লুটের মতন জঘন্য কার্যকলাপ চালায় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।

জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের রাজার চরে আশ্রয়হীন ভূমিহীন মানুষের জন্য ২০৫ টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। নদী তীর থেকে এই স্থানের দূরত্ব প্রায় ০৩ কিলোমিটার। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দিক নির্দেশনায় কাজের অগ্রগতি প্রশংসনীয়।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট যখন দেশের সরকার পতনের দাবি নিয়ে সারাদেশ উত্তাল ঠিক সেই সময়ে কিছু লুটেরা অত্র কাজের স্থান থেকে রাতের আধারে প্রায় ৪০ টি দরজা যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা,৬ বান টিন যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা এবং ২ লাখ টাকা মূল্যের কাঠ চুরি করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান জানান, আমাদের এলাকায় ঘরের কাজ হয়ে এখানকার লোকজন একটু মাথা গোজার ঠাঁই পেল। কিন্তু রাতের আঁধারে যারা এই চুরি কাজ করলো তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ভাবতে ঘৃণা হয় এলাকায় একটা উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে, কোথায় সহযোগী করবে তা না করে চুরি করলো। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক নৌকাচালক জানান, চুরির বিষয়টি একটু একটু শুনেছি তবে চোর বেশ কয়েকজন হবে। তারা নৌকা যোগে মালামাল অন্যত্রে নিয়ে গেছে। এখানে মালামাল থাকলে আমরা জানতাম। তবে যারা কাজ টি করেছে আল্লাহ তাদের কখনও ভালো রাখবেন না।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মালামাল চুরির বিষয়টি নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। সেই সাথে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, চরে ঘর নির্মাণ করা অনেক চ্যালেঞ্জের। আমরা লোকজন দিয়ে অনেক কষ্ট করে কাজ গুলো করাচ্ছি। যাতে ভূমিহীন মানুষের কল্যাণকর হয়। আর এখানকার মালামাল চুরির বিষয়টি আমার খুবই খারাপ লেগেছে। আমি চাই এখানকার লোকজন কাজে সহযোগিতা করুক।

সচেতন মহল বলছেন, ভূমিহীনদের নিয়ে প্রকল্পের মধ্যে এহেন কর্মকাণ্ডের ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

গাইবান্ধায় আশ্রয়ণের নির্মাণাধীন ঘরের মালামাল চুরি

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:২৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

গাইবান্ধায় গহীন চরে ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণাধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের টিন,দরজা ও কাঠ চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

চলতি মাসের ৫ আগস্টে যখন সরকার পতনের ডাক দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চরমে ঠিক তখন এই প্রকল্পের কাজকে ব্যাহত করার লক্ষ্যে এবং স্বীয় স্বার্থে এই লুটের মতন জঘন্য কার্যকলাপ চালায় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।

জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের রাজার চরে আশ্রয়হীন ভূমিহীন মানুষের জন্য ২০৫ টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। নদী তীর থেকে এই স্থানের দূরত্ব প্রায় ০৩ কিলোমিটার। উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দিক নির্দেশনায় কাজের অগ্রগতি প্রশংসনীয়।

স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট যখন দেশের সরকার পতনের দাবি নিয়ে সারাদেশ উত্তাল ঠিক সেই সময়ে কিছু লুটেরা অত্র কাজের স্থান থেকে রাতের আধারে প্রায় ৪০ টি দরজা যার আনুমানিক মূল্য ২ লক্ষ টাকা,৬ বান টিন যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা এবং ২ লাখ টাকা মূল্যের কাঠ চুরি করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান জানান, আমাদের এলাকায় ঘরের কাজ হয়ে এখানকার লোকজন একটু মাথা গোজার ঠাঁই পেল। কিন্তু রাতের আঁধারে যারা এই চুরি কাজ করলো তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ভাবতে ঘৃণা হয় এলাকায় একটা উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে, কোথায় সহযোগী করবে তা না করে চুরি করলো। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক নৌকাচালক জানান, চুরির বিষয়টি একটু একটু শুনেছি তবে চোর বেশ কয়েকজন হবে। তারা নৌকা যোগে মালামাল অন্যত্রে নিয়ে গেছে। এখানে মালামাল থাকলে আমরা জানতাম। তবে যারা কাজ টি করেছে আল্লাহ তাদের কখনও ভালো রাখবেন না।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মালামাল চুরির বিষয়টি নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। সেই সাথে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বলেন, চরে ঘর নির্মাণ করা অনেক চ্যালেঞ্জের। আমরা লোকজন দিয়ে অনেক কষ্ট করে কাজ গুলো করাচ্ছি। যাতে ভূমিহীন মানুষের কল্যাণকর হয়। আর এখানকার মালামাল চুরির বিষয়টি আমার খুবই খারাপ লেগেছে। আমি চাই এখানকার লোকজন কাজে সহযোগিতা করুক।

সচেতন মহল বলছেন, ভূমিহীনদের নিয়ে প্রকল্পের মধ্যে এহেন কর্মকাণ্ডের ঘটনা সত্যিই নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।